ফাগুনের আগুন

ফাগুনের আগুন

-অমল দাস

আজ সমস্ত দিন তোমার শিবের চতুর্দশী

অনাহারে তুমি ছিলে নির্জলা উপবাসী ।

অপেক্ষার প্রহর গুণি মন্দির পাশে বসে,

একটি ঝলক দেখার ইচ্ছা বসন্তের আবেশে।

শাড়িতে তুমি এলে ফাগুনি রৌদ্র দুপুরে,

ঝনক টনক নৃত্যে- পায়ের ঐ নুপুরে ।

ঢালিলে তুমি নির্বাক পাথুরে লিঙ্গে জল,

তোমার লাগি জাগিল অন্তরে কোলাহল।

দেখিলে তুমি মোরে আড় চোখেতে চেয়ে,

আমি লাজে রাঙা হই দুধ-জলেতে নেয়ে।

যৌবন দিও ধুয়ে তুমি এসে মোর জীবনে,

স্থান দাও মোরে তব আরাধ্য শিব জ্ঞানে।

ধুতরায় কি পেয়েছ ? হাতের পরশ দিয়েছ,

ভরা যৌবনি অঙ্গে শিব কে তুমি ছুঁয়েছ!

আমি তোমার অভিলাষী রক্ত তীব্র শিরায়,

উন্মুখ করি বাতায়ন ছুঁয়ে দেখ আমায়।

কটিদেশ দুলে যাও- বারে বারে ফিরে চাও,

তৃষ্ণার চাতক আমি কণ্ঠ ভিজিয়ে দাও ।

মুক্ত লম্বা লহরি কেশে বাতাস দিল হেসে,

জীবনতরী আমার যায় তোমার ঘাটে ভেসে ।

সাধ্য হলে তোমায় আগুনি শুভেচ্ছা দিতাম,

পিরিতের আহ্বানে তব অন্তর ছিনিয়ে নিতাম।

রাঙিয়ে নিতাম তোমায় পলাশের লালে লালে

চুম্বন ছোঁয়া দিতাম তোমার কোমল গালে ।

Loading

Leave A Comment