মেঘা

মেঘা

-রুনু ভট্টাচার্য্য 

 

মাঝে মাঝে যখন উদাসীন হয়ে পড়ি একজনের কথা খুব মনে পড়ে । জীবনটাকে নতুন করে চিনতে শিখেছিলাম তার কাছে । তার চিন্তাধারা খুবই অভিভূত করত । আমি খুবই উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়তাম তার কথা শুনে । আজও তারকথা মনে পড়ছে খুব বেশী করে । মেয়েটির নাম মেঘা , শিলং এ পরিচয় তার সাথে । হাসি খুশি ছটফটে মেয়ে । ভারী ভালো লাগতো তাকে ।মনেহত সত্যি মেঘালয়েই মেঘাকে মানায় । আরও ভালো লাগত তার প্রেমিকদের কথা শুনে । তার প্রেমের কথা শুনে মন পুলকিত হয়ে উঠত । বর্তমানে মানুষের প্রতি মানুষের প্রেমটাকে তার কৃত্রিম বলে মনেহয় । এখানে মানুষ নিজের স্বার্থে মানুষকে কাজে লাগায় । সুন্দরভাবে একে অপরের সাথে প্রেমের অভিনয় করে যায় । মুখোশধারী মানুষ গুলোর স্বার্থ মিটে গেলে কেটে পড়ে অন্যকে পদ-দলিত করে । মানুষ আজ নিজেকে নিয়েই বড্ড বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছে । আত্মকেন্দ্রীক লোকগুলোর সংস্পর্শে থাকার চেয়ে একাকিত্ব কে বেছে নেওয়াই তার শ্রেয় বলে মনে হয়েছে ।

মেঘার প্রথম প্রেমিকের নাম হলো পাইন গাছ ।পাইনের প্রেমে কেউযে এতো পাগল হতে পারে ওকে না দেখলে আমার বিশ্বাসই হতো না , মনের সমস্ত কথাই উজার করে দেয় সে পাইনের সামনে । পাইনও বাধ্য প্রেমিকের মতো চুপচাপ শুনে যায় তার কথা । কোনো খারাপ উপদেশ পাইন কখনো দেয় না ।আমি এই প্রেম দেখে রোমাঞ্চিত হই । ওর দ্বিতীয় প্রেমিক হলো পাহাড় । পাইন ও পাহাড়ের জন্য ওর স্বপ্নের শহর হলো শিলং । ওর তৃতীয় প্রেমিক হলো সাগর । কত উদার এই সাগার মানুষের মধ্যে কোথায় এই উদারতা ।সংকীর্ণ ও পঙ্কিলতায় ভর্ত্তি । মেঘার খুব ইচ্ছে শেষ জীবনে পাহাড়ে গিয়ে বাস করার ।ওর আরও ইচ্ছে পাহাড়ের মতো নির্বাক হয়ে যেতে । বোবাের কোনো শত্রু নেয় তাই তারও কোনো শত্রু থাকবে না ।

Loading

Leave A Comment