দায়িত্ব

দায়িত্ব

-অমল দাস 

 

-পীযুষ তুমি রেডি হয়ে থাকলে তুতান কে একটু খাইয়ে দাও।

-কেন তুমি কি করছ…?

-আমি শাড়িটা পরছি ।

-তুমিই খাইয়ে দিও শাড়ি পরে , আমি বেরচ্ছি !

-প্লিজ একটু খাইয়ে দাও , তোমার তো এখনো সময় হয় নি বেরনোর !

-সময়টাও আজ কাল তুমিই বলে দেবে ?

-প্লিজ রাগ করোনা! তুতান কে তৈরি করতে লেট হয়ে গেল , আমার শাড়িটা পরা হয়নি, আমিও তো বের হব।

-একদিন লেট হলে কিছু হবেনা । তাছাড়া এমন কিছু দেরি হয়ও নি এখনো।

-এভাবে দায়িত্ব এড়িয়ে যাও কেন প্লিজ বলত আমায় ?

-দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্ন এলো কোথা থেকে , তুতানকে খাওয়ানোর কাজটাও কি আজ থেকে আমাকে করতে হবে ?

-আজ থেকে মানে ? আজ থেকে তো দূর , একদিনও করেছ ? বাবা তো সন্তানকে আদর করে কোলে তুলে খাওয়ানোর চেষ্টা করে সেটাও আজ পর্যন্ত করেছ তুমি?

-সোহিনী ! তুমি কি সকাল সকাল গলাবাজি করতে চাইছ না আমার কাঁধে দায়িত্ব ঝেরে ফেলতে চাইছ?

-দায়িত্ব …..! দায়িত্বের কথা বলছ , সেটা তুমি করও নাকি, তুতানের স্নান , খাওয়ান ,স্কুল নিয়ে   যাওয়া নিয়ে আসা , অসুস্থ হলে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া, সংসারের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা কোনটা আজ পর্যন্ত করেছ , না আমি আজ পর্যন্ত বলেছি পীযুষ ?

-দেখ সোহিনী ফালতু বাকবিতণ্ডা করে লাভ নেই আমি যা পারি করব তুমি তোমার দিকটা দেখ। তুতান কে মানুষ করার দায়িত্বও তোমার।

-হ্যাঁ তাইতো দেখছি! সব রেসপন্সবিল্‌টি আমার তোমার কোন দায় নেই! ওকে জন্ম দিতে তোমার দায়িত্ব ছিল- পালনে  নেই, ও পরিচয়ে তোমার নাম পেল -ওর শিক্ষায় তুমি নেই। বাঃ.. রে…. ওকে জন্ম দিলাম দুজনে, সব দায় আমার সব নাম তোমার! একটা কথা শোন আমি কুন্তী নই আর তুতানও সূর্যের বর প্রাপ্ত সন্তান নয়। অতএব বাবার কর্তব্য তুমি ঝেরে ফেলতে পারনা।

এই সবের মাঝেই ছোট্ট তুতান ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থেকে কিছুক্ষন পর বলে ওঠে , মা মা তুমি আমাকে দাও আমি একা একা খেয়ে নেব।

=সমাপ্ত=

Loading

6 thoughts on “দায়িত্ব

Leave A Comment