আজ নারী দিবস!!
-রীণা চ্যাটার্জী
আন্তর্জাতিক…দিবস মাঝে একটি শব্দ বেছে নিয়ে বসিয়ে দিলেই একটি দিবস উদযাপিত। শুধু একটি বিষয় বেছে নেওয়া–উপকারীতা, প্রয়োজনীয়তা, স্বকীয়তা তার কতটুকু গভীরে যাই আমরা? কতটুকু সাফল্য পায় সেই বিশেষ দিবস। কোনো বিশেষ বিষয়টি উদযাপন উদ্দেশ্য হয়তো ছিল তার অশুভ দিকটি মুছে ফেলে,শুভ দিকটি তুলে ধরার অঙ্গীকার করা, অঙ্গীকার বাস্তবায়িত করা…অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। কতটুকু করি আমরা, কতটুকু পারি? আদৌ কি মনে ছাপ ফেলে যায় সেই শপথের গভীরতা!!
আজো একটি আন্তর্জাতিক দিবস।পালিত হচ্ছে মহা ধূম করে পত্রিকা, বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়া, বুদ্ধিজীবীদের মতামত আর শুভকামনা নিয়ে সবক্ষেত্রেই। “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” আজ!! নারীদের সম্মান, স্বীকৃতি, অগ্ৰগতি, অধিকার সব নিয়ে গাল ভরা কথা!! কতকিছু দেবার দিন আজ! কিন্তু শুধু আজ কেন? প্রতীকী…নারীদের উদ্দেশ্যে? মেনে নিলাম তাই…তারপর রাত ফুরোলে? তবু একটা প্রশ্ন জাগে মনে, আজকে ও নারী পাবে তো সম্মান পথেঘাটে, ঘরে বাইরে বা তার একান্ত প্রিয়জনের কাছে? সমগ্রের হিসাব জানিনা তবে সবাই পাবে না কারণ নারী এখন ও একটি অভ্যাস ও একটি অধিকারের সমার্থক শব্দ। এই বোধ এই বিশেষ দিনেও মন থেকে দূরে রাখতে পারবে না সেই তথাকথিত “প্রিয়জনেরাও”…সমাজ সংসার অনেক পরে। নিজের যোগ্যতা অর্জন করে নারী বহুবার প্রমাণ করেছে নিজেদের উজ্জ্বল অস্তিত্ব। তবু সাথে পথচলা আজো কি সুগম হয়েছে সেই সাফল্য উত্তীর্ণ নারীদের? তবে কিসের অঙ্গীকার ছিল? কেন নারী দিবস? অস্তিত্বের লড়াইয়ে আজো নারী রক্তাক্ত, বিদীর্ণ। কোন কোন অঙ্গীকারের প্রতিফলন, কোন আঙ্গীকে সফল বিশ্বের দরবারে নারী দিবস! একটি উপহাস মন্ডিত, ব্যঙ্গাত্মক দিন “আন্তর্জাতিক নারী দিবস”।