“আমার কৃষ্ণকলি”
✍ রুনু ভট্টাচার্য
একশ’ বছর আগের সে দিন,ঘন মেঘে আকাশ ঢাকা
আলের ধারে দাঁড়িয়ে পেলে তোমার কৃষ্ণকলি।
হিংসে করি রবিঠাকুর, তোমায় আমি হিংসে করি
আমার ও তো ইচ্ছে করে,আলের ধারে দাঁড়িয়ে থাকি
কৃষ্ণকলির কানে কানে প্রানের কথা বলি।
আমার তরী মাঝ দরিয়ায়, জল কেটে যায় ছলাৎ ছলাৎ
উথালপাথাল করলে ও তাই স্রোতের সাথে চলি।
মাথার উপর মেঘের মিনার, দূর সরে যায় নদীর কিনার
বইছে বেলা, মেঘের খেলা, আলপনা দেয় আকাশপথে
ঠোঁটের গোড়ায় হাজির আছে শতেক শেখা বুলি।
ঢেউ ছিল আর কেউ ছিল না,তেপান্তরের মাঠ ছিল না
ভেবেছিলাম শান্ত নদী,আঁকবে পটে ক্লান্ত ছবি
ইচ্ছে নদীর ইচ্ছে হল, পথ হারাবে গহিন রাতে
নিই খুঁজে নিই নিজের মত অলস কানাগলি
ঢেউ জানে আর কেউ জানে না মনের অলিগলি।
হঠাৎ দেখি মেঘের মাঝে,ঝিলিক দিয়ে আকাশ আলো
চিলতে মেঘের মাঝখানেতে আমার কৃষ্ণকলি
এই কলিটা ভাগ হবে না,বুকে আমার কুসুম। আদর
ভাগ হবে না তোমার সাথেও,আমার ভরা ঝুলি
আকাশ আমার ক্যানভাস আজ, হৃদয় আমার তুলি।