অনুকরণ
-অমল দাস
অনুকরণ অস্থিমজ্জায় রক্ত কোষে –
সর্বোপরি মননে স্থান নিয়েছে,
কার্বন জমেছে শরীরে , চোখও ঢেকেছে।
পেট্রোলিয়ামের মত দাহ্য
স্ফুলিঙ্গের মতই জ্বলে ওঠে দাউদাউ।
সাবেকি প্রদীপে বাল্মীকি লিখতে পারে,
আমদের রামায়ন পাঠ আর হয়না সৌরকিরণেও।
অমর কাব্য লেখার খুব লিপ্সা।
শূন্য খাতা অনুকরণে ভরিয়ে দাও লজ্জা হীন!
কীসের লজ্জা?
হেথা হোথা থেকে তোল
আর রাবার স্ট্যাম্পের মত দাও ছাপ ।
মস্তক ঘিলুতে স্বকীয়তার চারাগাছ তো কবেই মৃত !
কালিদাস তো আর আসবেনা লিখতে?
রবি ঠাকুর কি জানবে তিনিও অনুকরণের স্বীকার
জীবনানন্দ জীবদ্দশায় ব্রাত্য
হোক অনুকরণ, কেউ কিছু বলবে না
জানতে চাইলে স্বগর্বে বলো তাঁরা এসে যেন প্রমাণ দেয়।
জীবন্ত স্বকীয়তা চলুক নিত্য প্রবাহে…
সৃষ্টির দরবারে ঘুরঘুর করুক লোলুপ জাতি
বেড়ে উঠছে উঠুক ডালপালা, ছড়াচ্ছে –
ছড়িয়ে যাক অনুকরণ, কার কিসে যায় আসে ।
কলম তো আর থামবে না !
কবি তুমি না হয় একদিন-
বিনিদ্র কষ্টের জল ফেলো আঁখি হতে।