মৃত্যুঞ্জয়
-সায়ন্তনী
প্রদীপের সলতে কমে এসেছে
সম্ভবত তাতে তেলের অভাব
ঠাকুরঘরের সামনে আছড়ে পড়ে
নিঃশব্দে কাঁদছে সুনয়নী
ভগবান বরপ্রাপ্য দ্বিতীয় সন্তানকে
ভাগ্য করে পেয়েছে সে
ঘটা করে নাম রেখেছে মৃত্যুঞ্জয়
আজ মৃত্যুঞ্জয় মৃত্যুর দিন গুনে চলেছে
ডেঙ্গুজ্বরে আজ সতেরোদিন বিছানায়
চিকিত্সা তো দূরে থাক,দুবেলার
নীবালাটুকুও ঠিকঠাক জোটেনি
বাবা নেই,মা লোকের বাড়ি কাজ করে
মাসের মধ্যিখানে হাত ফাঁকা
গ্রামের এক হাতুড়ে ডাক্তরকে দেখালেও
কোনো সুসফল হয়নি
রক্তের প্লেটলেট বর্তমানে নেমেছে কুড়িহাজারে
প্লেটের সাথে সাথে নেমে চলছে
তার বাঁচার প্রহর
কপালে জলপটি লাগিয়ে অনবরত জল
গড়িয়ে আসছে সুনয়নির্ নয়ন দিয়ে
প্রলাপ একটাই “তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবি বাবা ”
মায়ের হাতে আলতো স্পর্শ করে,মৃদু হাসির রঙ্
বদলে পাড়ি দিলো সে এক অজানা দেশে
কোথা থেকে অশৈল্য হাওয়া এসে
নিভিয়ে দিলো তার জীবনের প্রদীপ
সত্যি মৃত্যুকে বুঝি সে জয় করেছিলো
তাই সুনয়নীর্ রাখা নাম আজ সার্থক