নীতিহারা
-রীণা চ্যাটার্জী
ধর্মের ফাঁদে রাজনীতি
সন্ত্রাসীরা রাজ অতিথি।
ছাত্রের বেশে প্রতিবাদী,
ধন্ধে কাঁদে ছাত্রনীতি।
রক্তে ধৌত শিক্ষাঙ্গন
বুলি সাজায় রাজাঙ্গন।
এড়িয়ে যাবার পথ নেই
আগামীর দিশা নরকের মই
শিক্ষার যাঁরা কারিগর,
হোল রাজনীতির দোসর।
শিক্ষার মান আজ অবনত
হোল না কারো অবগত।
অসি হাতে আসে পথে
শিশু হাসি বাসি পাতে!
শিশু চাহনী অসহায়…
কেউ নেবে না এর দায়।
দ্রৌপদীরা আজো হাটে
দুঃশাসন অগণিত সাথে,
হোল না কোনো ঐন্দ্রজাল
কুরুক্ষেত্র পেলো না হাল।
গার্গী মৈত্রেয়ী জ্ঞান,সূত্র
আজো যেন অস্তমিত…
নারীর সাজ অবগুণ্ঠন
লুকিয়ে হোক লাজ লুন্ঠন।
কর্মহীনেরা কর্ম চায়
কর্মবিরতি কর্মীরা পায়,
বিদ্রোহীরা সুর তোলে
প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে।
রাজার তলোয়ারের বলে
জনজীবন প্রতিবাদ ভোলে,
ন্যায় বিচারের নব বোধোদয়
গনতন্ত্র কোথায় লুকায়!
যন্ত্র এনেছে যান্ত্রিকতা,
মানব ভুলেছে মানবিকতা।
মাতামাতি করে রেষ
কশাঘাতে শেষ দেশ।
মুখোশ পড়ে সমব্যথী!
এরা জেনো ভোট প্রার্থী।
স্বার্থরক্ষার হানাহানি
নেতা আমীরের স্বর্ণ খনি।
অন্যায় করো যত খুশ
দেবতারা নিচ্ছে যে ঘুষ!
থাকতে হবে অর্থের জোশ
দানে নাকি কাটে গ্ৰহদোষ!
সোনা চড়ে দেবতার পায়ে
নিরন্ন কাঁদে ক্ষুধার জ্বালায়
ধর্ম অধর্মের রেখো না ত্রাস
ধ্বংস লীলায় করাল গ্ৰাস।
চরম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন
ধন্যবাদ বন্ধু