পিঁপড়াবাদ
-রাজীব লোচন বালা
এই তমাসাঘন তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাবে ব্যক্তিস্বার্থতার মত্ততায়,
আভ্যন্তরীণ অসৈরনতা আর বাহ্যিক কোন্দল বচসায়
বিবেক বর্জিত ব্যক্তিকেন্দ্রিক বুদ্ধির জোয়ারে ভেসে,
আত্ম মূল্যায়ন নাই, তাদেরই গ্রাস করা এই পৃথিবী।
মানুষ আর মানুষ কিন্তু ফারাক অনেক এই ভূ-তলে,
কেউ বা ইমারতে কেউ ড্রেনের পাশে,কেউ বা ট্রেনের- কামরায়_
কেউ খায় ফেলিয়ে-ছড়িয়ে !কেউ কুড়ায় ড্রেনের ধারে
ধারে!!!
এই নিয়েই লেখা হয় শব্দের মারফতে রসোচীত সাহিত্য এই সমাজে।
কত শব্দ ! কত কথা !! কত মাধুর্যে ভরা রসের খনি!!!
কেউ তো আসে না, তাদের কাছে হাতখানি বাড়িয়ে,
সময় নেই মানুষের কাছে! নিজের হাঁড়ি আগে ভরার তরে
ডেঙ্গিয়ে চলা, মাড়িয়ে চলা মানুষ আর মানুষ হায়রে!!!
তাই চাই সত্য- সরল-পবিত্রতার মেলবন্ধনে দৃষ্টি নিক্ষেপ,
কাদের দিকে ? ওই বুদ্ধিজীবিদের দিকে ! হা! হা! হা!
নাহ্ তাদের দিকে নয়,কোনোদিনই নয় ওই স্বার্থান্ধদের- দিকে,
চোখ মেলিয়া তাকাও ওই ক্ষুদেদের প্রতি আহা ! কি সুন্দর ।
একদিন সকালে, কোনো খাবার দিবে ওই মাটির উপরে
একটা ‘পিঁপড়া’ দেখো আসবে ঘুরতে ঘুরতে ওই খানে,
খাবে না সে কোনোভাবেই , দেখে চলে যাবে
দলবেঁধে পরে এসে আনন্দেতে খাবে আর মিটমিটিয়ে চাবে।
তাই তো বলেপিঁপড়ার মতো সবাই এক তানে চলি__ সবাই মিলে মোরা যদি খাই ভাগ করে নিয়ে,
তবেই তো বিশ্বে সাম্য -শান্তি ফিরে আসতে পারে
মানুষ আর মানুষে প্রেম প্রীতির অনুরাগে ভাসতে পারে।
ভবা পাগলার এই বাণী চলো জীবন ধরে
এই পথেই চিরন্তন মনুষত্ব ফিরে আসতে পারে।
“কত বাদ নিয়ে চলে জগতে লড়াই
আমরা যদি ‘পিঁপড়াবাদ’ ধরে চলি রে ভাই,
ভারতবর্ষে আর কোনো বাদের দরকার নাই।
পিঁপড়ার মতো যদি সবাই একত্র হয়ে,
সবাই যদি খাই মোরা ভাগ করে নিয়ে
তবেই তো শান্তিরথ আবার ফিরতে পারে,
পিঁপড়ার মতোন করে চলি তবে সেই পথে একত্র হয়ে।
“এই জগতে মানুষ যারা ভালো কিছু পেলে
জন্মের গেলা তখন একা একা গেলে”
অসীম মহাশয়ের সত্য বচনের পথে,
চলি শুধু যেন পিঁপড়াদের মতোন হয়ে হয়ে।
এই জন্য পিঁপড়াবাদ ধরে চলা চাই,
এক সাথে- মিলেমিশে কাজ করা চাই।
কর্মের ভিতর দিয়ে ভাগ করে করে,
জীবনকে সুন্দর করে গুছিয়ে পিঁপড়াবাদকে প্রণাম করে।