আমরা দেখছি বহু ক্রোশ দূর দাঁড়িয়ে
-অমল দাস
তারপর আমরা বহু ক্রোশ দূরে এসে দাঁড়িয়েছি
কত ক্রোশ জানি না
স্বর্গ মর্ত বা অন্য কিছু
কিন্তু পৃথিবী আমাদের খুব নিকটে স্পষ্ট দেখছি
সবই দেখছি! সাদা মেঘ, নীল জলরাশি সবুজ বন, সবই …
আরও দেখছি! ফুটন্ত লাভার উপর পৃথিবীর ভাসমান আস্তরণ
আবার বারুদের আগ্রাসী আস্তানা তার বহির্বিভাগে
ফুটন্ত উর্দ্ধমুখী লাভা আর বারুদের স্তুপের আবর্তেই আমাদের আত্মীয় স্বজন
পশুপাখি – গাছপালা – জল – বায়ু
নিশ্চিন্ত সকলেই , শান্ত ঘুমন্ত কিন্তু ভয়ঙ্কর
পৃথিবীর ঘূর্ণনও এত সরল স্বাভাবিক…
ভয় ঠুনকো আঘাতেই কক্ষচ্যুত হতে পারে…
আবার আভ্যন্তরীণ জনবিস্ফোরণে পদপৃষ্ঠ হতে পারে প্রাণ
হয়তো আহার জুটবে না একে অপরকে ছিঁড়ে খাবে
ইদানীং যে ওরা বড্ড মাংসাশী হয়ে উঠেছে হিংস্রও বটে
হয়তো সব লাভা একদিনে অগ্ন্যুৎপাতে বের হবে
হয়তো বারুদ একদিনে জ্বলতে শুরু করবে পৃথিবীর কোন এক কোণে
তাহলেই ছাই- ধোঁয়া আর দগ্ধ শব
আমরা দেখছি সাদা মেঘের বদলে শকুনের কালো ছাউনি
মহা আনন্দে ওরা জনমের বুভুক্ষুরা
তবে শেষে একদিন সংক্রমিত হয়ে শকুনো শব হবে
যদি বিস্ফোরণে ছিন্ন ভিন্ন ছন্নছাড়া হয়ে যায় পৃথিবী
তাহলে ভালোই হবে
নয়তো আবার পুনর্গঠনে জৈব তেল , কয়লা , বহু মূল্যবান খনিজ জমা হবে
আবার নতুন প্রজন্ম হবে, গোষ্ঠী হবে , দলাদলি হবে, রক্তাক্ত হবে
সভ্যতা গড়বে ভাঙবে বিলুপ্ত হবে ….
আগুন জ্বলবে ধ্বংস হবে আবার চক্রবৃত্তে এর পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকবে
আমরা দেখছি নীল সবুজের বলয়কে
দেখছি তার আগামী
ওরা কেমন যেন শান্ত আবর্তনের সাথে তাল রেখে গড়িয়ে গড়িয়ে চলছে
যেন কিছুই হয়নি ! হবে না……….
আমরা দেখছি বহু ক্রোশ দূর দাঁড়িয়ে ।।