মরিচিকা তোমাকে
-পার্থসারথি
“বেলা শেষের গানে তোমার প্রসঙ্গ আনতেই গানটা বেহাগের কাছে গচ্ছিত রেখেছি,তু
মিতো জানই আমি চিরদিন বাউন্ডুলে চণ্ডীচরণ—এই নামেই ডাকতে আমাকে;
জানিনা সেই ডাকের মধ্যে কোনো আন্তরিকতা ছিল কিনা!
তুমি হয়তো ভাববে আজ এতো বছর পরে শুধুমাত্র একটা নামের খেই ধরে-
এতটা মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের কি খুব প্রয়োজন ছিলো।
উত্তরটা খুব সহজ- রাত্রি।
একটা দীর্ঘশ্বাস ভরা– ‘না’।
প্রতিহিংসা চরিতার্থতার গোপন ইচ্ছা যদি ভাবো—-তাও নয়।”
“তবে?”
“যেভাবে শুরু হয়েছিলো একটা সম্পর্ক তা কেবলমাত্র ঝোঁকের বশে এভাবে শেষ করা যায়
তার ব্যাকরণের প্রথম পাঠ তোমার কাছেই বুকে পাথর চাপা দিয়ে শিখে নিয়েছি—-
তাই এখন আর হারাবার ভয় নেই।
তুমি রাত্রি আজ কোন অতিথির গোপন কক্ষে অনাবিল আনন্দে উজার করেছো নিজেকে
তাও জানতে চাইবো না—তবে তোমার কাছে একটা জিনিষ চাইবো অবশ্য যদি রাজি থাকো ।”
“কি?”
“একবার ওই গানটা গাও না রাত্রি ,আর হয়তো তোমার সাথে আমার দেখা হবেনা কোনোদিনও।”
“কোন গানটা?”
“ওই যে–‘সেদিন দুজনে দুলেছিনু বনে——-!”
খুব সুন্দর লেখনী