সেই মেয়ে
-প্রসেনজিৎ রায়
নিস্তব্ধ রাস্তা ,সে হাঁটতেছে একা
সামনে পিছনে কেউ নেই , নেই কারো দেখা ৷
হঠাৎ দানবের দল ,হিংস্র দাঁতে নখে কামড়ে কামড়ে খায়,
বাঁচাও বাঁচাও! যেন কেউ শুনতে না পায় ৷
একদল কাপুরুষ মুখে কূলুপ এঁটে করে আছে চুপ ,
বার বার নিয়তি দেখায় পুরুষের সেই রুপ ৷৷
হে পুরুষ! বসো কেন যে সে ফুলে ,
নিজের অকাত কি গেছো তোমরা ভুলে ৷
কোন দুরত্ব কি রাখিতে পার না,
নাকি, পথচারী আর প্রেমিকার পার্থক্য বুঝো না???
রাত্রির অন্ধকারে সে তো ভয়ে মরে ,
সমাজ আর সেই হিংস্র দানবের ডরে ৷
ঠাঁই একটাই পথভুলে যেদিকে যাই ৷
ইস্টেশনে গেটে সেই কুমারি অন্তসত্বা পেটে ,
নিতান্ত সে হতাশ –
কার বাচ্ছা ? এ সমাজ খুলবে কি সে ইতিহাস ৷
বরং কিছু পুরুষ মুখ টিপে আল্ত কথা বলে ,
নিয়ে যাবে কোনো এক ছলে,
আটবে ফন্দি , বাঁচাবে নতুন স্বপ্নের বলে ৷
স্বপ্ন সেতো দু-মুঠো ভাত ,
জুটরে শেষে নারীদালালের ধরে হাত ৷
নিষিদ্ধ পল্লীর কোনো এক গেটে ৷