বহ্নিশিখা
-পাপিয়া ঘোষ সিংহ
ও মেয়ে !তুই তন্বী না হয়ে বহ্নি হয়ে ওঠ্,
ফুল না হয়ে যুগের আবহে ক্যাকটাস হয়ে ফোট ,
কিশোরী তোর পদক্ষেপে নৃত্যের তাল নয়—
উঠুক বেজে রণহুঙ্কার।
যুবতীর রূপের তেজস্বীতায় জ্বলে যাক যত অশুভ আঁধার।
সীমন্তিনী তোমার কপালের সিঁদুর টিকা—
বশ্যতা নয়,আগুন জ্বালুক।
তোমার ঐ হাতের চুড়ি,পায়ের মল –
তোমার নয় , দস্যু পায়ের হোক শিকল।
পোষাক তোমার শালীনতা,
বাধ্যতা যেন না হয়ে ওঠে।
বোরখা,ঘোমটা খুলে ফেলে আজ
সজ্জিতা হও রণসাজে।
প্রেমিকের হও প্রেমিকা, ভাইয়ের বোন,
মা হয়ে স্নেহ দাও সন্তানে,
পিতা মাতার হয়ে ওঠো অবলম্বন
বাঁধা থাকো স্নেহ বন্ধনে।
তবুও তোমার কোমল হৃদয় শক্ত করে
দূর্বলতা, প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ফেলে,
চন্ডী রূপ ধারণ করো।
তোমার মনের তেজস্বীতায় -ভস্ম হোক
যত দূর্বৃত্ত ,কাম লোলুপ, ধর্ষক।
হোমানলে ঘৃতাহুতি দিয়ে
জিইয়ে রাখো মনের আগুন।
যুপকাষ্ঠে পোড়াও এবার অত্যাচারীর অহম্।
বহ্নিশিখা হয়ে ওঠো মেয়ে ! থেকোনা হয়ে মোম।
Fantastic