কর্তব্য কথা
-অমল দাস
দায় সদাচার সৎকর্মে কর্তব্যের আলোক ঝরে ,
বহু কর্তব্য সমাজ শেখায় বহু আসে পুস্তক পড়ে।
এক সত্য সুন্দর সমাজ ভাবনা কর্তব্য পালন ঘিরে,
জীবন জুড়ে চলার পথে ভাবনা সুতো যায় ছিঁড়ে।
সদ্যজাতের লালন পালন ঈশ্বর দেয় যার তরে,
সেই জনেরা ব্রাত্য হয় পুত্র-বধু-এ ঘর করে ।
দুইটি হৃদয় একাত্ম হয় বিয়ে নামক মন্তরে,
কর্তব্যের আকাশ পাতাল প্রভাব ফেলে অন্তরে।
শিক্ষার্থীর ধ্যান জ্ঞান বাঁধা ইলেক্ট্রনিক যন্তরে,
কর্তব্যের কক্ষ ফাঁকা গুরু একা মগ্ন অন্দরে ।
কর্তব্য নেশা-ভেজাল-প্লাস্টিক হতে দূরে সরে,
আঁতুরঘর বন্ধে না! দেশ বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
ন্যায় নীতির পাহাড় জমেছে আদালতের চত্বরে,
কর্তব্যের ঢিলেমিতেই সুরহা নেই অতি সত্বরে।
ন্যায় অন্যায়ে চুপ !দোষ দেখে সব সরকারে,
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে প্রশাসন ছায় ঘুষখোরে ।
প্রাণ যায় নিত্য শত; নিত্য ভুলের হাত ধরে,
খবরের ছবিতে সবাই ঘরে বসেই শোক করে ।
শিক্ষা শিক্ষা রব তুলে ব্যবসায়ী মসনদ গড়ে ,
চাকরী দেওয়া কর্তব্যে নেই সাফল্য কেতন ওড়ে।
খুন জখমের দুষ্কৃতীরা চলছে লুটের যান চড়ে ,
পুলিশ বসে হিসাব কষে কর্তব্যকে ঢিল মেরে ।
কর্তব্যের গাফিলতি আঘাত হানে জীবন দপ্তরে,
অন্যের কর্তব্যে আঙুল; নিজে সেই শেষ প্রান্তরে।
কর্তব্যের নিষ্ঠা জোয়ার আসুক সকল মন দ্বারে,
স্বছ সমাজের উন্মেষ হোক কর্তব্যের সৎ সম্ভারে।