সময়
-কমলেন্দু বর্মন
সময় আপন বেগে ছুটে চলছে সময়ের মত
আগের মতই চব্বিশ ঘণ্টা অষ্ট প্রহরে দিন কাটে,
তবু কোন কোন ঘন্টা একাই প্রহর হয়ে নেমে আসে
যখন আমার বদ্ধ ঘরের চার দেওয়ালে চাপা পরে যাই।
সময় তখনও থেমে ছিল না…
যখন আমার মুক্ত আকাশে তোমার কিরণ খেলা করত,
যখন তোমার প্রভাতীর সুরে দিন শুরু হত আমার,
ক্লান্ত বিকেলের অফিসের ক্লান্তিতেও সময় থামেনি
যখন তোমার সারাদিনের গল্প আমার কাছে বলতে।
সময় থামেনি তখনও, যখন রাত্রি নিঝুম, যখন স্নিগ্ধ আকাশ বেয়ে পূর্ণিমার আলো ঝরে পড়ত,
আমার বুকে তোমার মাথা, প্রশান্তি নিদ্রা তোমার।
তবু সময় ছুটে চলেছিল আপন গতিতে, বাধতে পারিনি তারে।
আজও সময় চলে যাচ্ছে সময়ের মত, তাড়াতে পারিনি আমি।
আজও সকাল আসে, কিন্ত প্রভাতীর সুর আজ অতীত।
আজ ক্লান্ত বিকেলের ক্লান্তিটা বড়ই বিষময় হয়ে ওঠে,
রাতের অন্ধকার আরও গাঢ় হয়ে আসে,
পূর্ণিমার চাঁদে আজ পূর্ণগ্রহন!
কতগুলি চাপা কান্না ভীড় করে বসে থাকে আকাশের বুকে।
একটা ম্লান মৃদু বাতাস কানের মাঝে বার বার ফুঁ দিয়ে বলে যায় অতীতকে ভুলে যাও…
কিন্তু আমি পারিনি সেই সময়কে ভুলে যেতে,
আমি পারিনি ভুলতে সেই রাত, সেই সকাল, সেই বিকেলের ক্লান্ত স্মৃতিগুলিকে।
যে সময়ের অপেক্ষায় প্রহর গুনেছি একদা
সে সময় আজ আমায় তাড়া করে বেড়ায়।
এখন মনে হয় যদি সকাল বেলা সূর্য অস্ত যেত
যদি রাতের বেলা ভোরের আলো ফুটতো
সময় থেকে হয়তো পালিয়ে বাঁচতে পারতাম ।।