বাংলা বিশ্বে মেলে না
-অমল দাস
বেলার সাথে বাড়ছে খিদে সকালে ছিলাম অভুক্ত,
ঐ বেলাটাই অনাহারীদের ব্যথায় হয়েছিলাম যুক্ত।
ভাবি যা চলছে সমাজ তাতে তোমার আমার কি !
পাতে ছিল গরম ভাত কিন্তু ছিল না তাতে ঘি।
পাঁচ মিশালি শুক্তো নিলাম বিবিধ ভারতের মতো,
আমরা বৃহৎ গণের তন্ত্রে আছি গণ হয়নি উন্নত।
কুমড়ো লতার শাক ছিল বেগুনের ছিল ভর্তা,
ছেলেটি সে বাড়ি প্রায় আসে যখন থাকেনা ঘরে কর্তা।
ও বাড়ির মেয়ে বড় হয়েছে পাত্র চাই সরকারী,
বখাটে ছোরার হাত ধরে সে এক কাণ্ড চমৎকারী।
ডাল ছিল খুবই সুস্বাদু কাঁচা লঙ্কায় প্রিয় ঝাল,
অনুপ্রবেশের ইস্যু হাতে দেশ এখন হচ্ছে বেসামাল।
ভণ্ড শাকাহারী হয়েছি কদিন পাতে ছিল না মাছ,
রাজনৈতিক দোকানের হাঁক জাতি ধর্ম ভাজ তেলে ভাজ ।
আলু পোস্ত পড়ল পাতে ভোজন ষোলোআনায় পূর্ণ ,
আমার ডিগ্রী খাতার সাফল্যে লেখা আর্যভট্টের শূন্য।
মায়ের কথায় চাটনি নিলাম এমনিতে আমি খাই না,
বাংলা নাকি বিশ্ব দেখায় আমি বিশ্বে বাংলা পাই না।
রোজ কত পদ রোজ কত মত হাত ধুয়ে নি শেষে,
এক বণ্টনেই অন্তর দহন আর দ্বিতীয় না হয় দেশে।