অজানা
-সঙ্কর্ষণ ঘোষ
এ বাবা মডার্ণ জেনারেশন,আবেগ তেমন কোথা?
যেমন ছিলো দস্যি ছেলের প্রেমের গল্পটা।
মেয়েটা ছিলো বড্ড লাজুক, বয়সে ধরো কুড়ি
ধাতটা থোড়া অন্য হলেও প্রেমের ফুলঝুরি।
ফ্ল্যাশব্যাকেতে উনিশ শতক,সালটা বোধ হয় তিরিশ
বড্ড ভালো শুরুটা করেও, এক লহমায় ফিনিশ।
ফিরিঙ্গিদের বাড় বেড়েছে, দেশটা পুরো চুলি
প্রাণগুলো আজ সস্তা বড়ো, দাম শুধু এক গুলি।
চাঁটগাইয়ার গল্প এটা, জায়গার নাম ধলঘাট
মরবো ভালো দেবোনা ধরা,পালানো বড়ো বিভ্রাট।
ঘরের ভেতর তিনটে মানুষ, ওরা দুজন আর স্যার
বাইরে আসানুল্লাহ চেঁচায়, “ফায়ার”, ট্যাট্ ট্যার্।
“পালান, পালান, মাস্টারদা, সঙ্গে নিয়ে ও’কে
এই গোটা দুই লাল পাগড়ী, নিচ্ছি আমি দেখে।”
লাগলো গুলি দড়াম করে বামদিকেতে বুকের
স্বপ্ননীড়ের ভাঙলো আশা, স্বাধীন দেশে সুখের।”
হারিয়ে প্রেমিক সামনে চোখের,বাঁধলো সে মেয়ে বুক
এবার ব্রিটিশ কুকুরগুলো ধ্বংস করেই সুখ।
মাস তিনেকে তৈরী সেনা, ইউরোপীয়ান ক্লাব
লক্ষ্য এবার শিকল ভাঙার, স্বাধীন ভারত লাভ।
যুদ্ধ শেষে পায়েতে গুলি, পকেটে সায়ানাইড
সময়টা কম, শত্রুর দল, জলদি হোক ডিসাইড।
দেশের লড়াই পূর্ণ হোলো, ফিরবে মেঘের কাছে
সুখের বাড়ি প্রেমিক সনে বাঁধার বাকি আছে।
এমনি করেই মৃত্যুসুখে বিলীন হোলো তারা
প্রেমগুলো সব দেশ বাঁচাতে,হয়েছে কোথাও হারা।
খুশীর নীড়ে পাঠাই চিঠি, নই পরাধীন আর
ভুলিনি তোমায় নির্মল সেন, প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদার।