কে কে কী..?
-রাজীব লোচন বালা
একটা বড় প্রশ্ন ছোটোবেলা থেকেই ,বর্ণচিহ্ন নিয়ে খেলা
আবার বর্ণ নিয়ে ঘটে চলা সমাজ ব্যবস্থার নানান বচসা !!!
অদ্ভুত জন্মগত অসাধারণ এ নিয়ম মোদের জীবন শুধুই কামলা খাটা__
উঁচু- নিচু, ছোটো- বড়ো এসব জানতে বিদ্যা আর লাগে না।
সবইতো জন্মগত কর্মগত নামেই বলে, হিসাবহীন এ জঘন্য তা_
ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়- বৈশ্য ও শূদ্র কর্মক্ষেত্রে গোলমেলে কিন্তু,
জন্মসূত্রে পাওয়া এক নৈব নৈব চ অপরিবর্তীত কানুন এ জগতে।
শাস্ত্র বলে এদের কথা, সময় আর স্বপ্ন আজ পেলাম যথার্থতা
ব্রাহ্মন কে ? বলে ঋগ্বেদ শ্লোক নং ৭.১০৩.৮ এ বলছে,
ঈশ্বরানুরক্ত, অহিংস নিষ্ঠার সাথে হতে হবে সৎচরিত্র_
আরও আছে বলা ব্রহ্মন হবে শাস্ত্রঞ্জানী সু-শৃঙ্খলায় ভরা।
ক্ষত্রিয়ের কথা এরা আবার কারা ? চন্দ্রবংশ, সূর্যবংশ
বড্ড রকম এ জ্বালা তাই নিভাতে ঋগ্বেদে ১০.৬৬.৮ এ পেলাম এর উত্তর বলা আছে সেথা তোমার কি আছে দেখা,
সৎকর্ম দ্বার শুদ্ধত, রাজনৈতিক ঞ্জানী সত্যের ধারক ও ন্যায়পরায়ণ
সে কিন্তু অবশ্যই হবে বিদ্বেষমুক্ত সত্যের জয়কারী এক যোদ্ধা ।
বৈশ্য কে ? এ জাতি বলে দেয় নানান ঘাটে পাড়ি_
ওঠা- বসা, কায়দা- কানুন জানতে হবে তালুচাঁটা জলটাও খাওয়া।
অথর্ববেদ ৩.১৫.১ হবে তারা সৎ ব্যবসায়ী, দানশীল ও চাকুরীরত মহান কাজে ব্রতী দেশকে করবে সে ধনী ।
এবার আসে গোলাম জাত খায় এরা মার, তিন জাতির সেবায় জন্মগত_
সকল কিছুই করবে এরা ,হল শূদ্রজাত ।
কিন্তু বাপু দেখো ভেবে নমস্য এরাই যারা দেয় অকাতরে,
ঋগ্বেদ, ১০.৯৪.১১ দিয়েছে চেনার অপার অমোঘ বৈশিষ্ট্য_
যারা হবে অদম্য, পরিশ্রমী- অক্লান্ত জড়া- ব্যাধি যাদের গ্রাস করতে পারে না ,
হতে হবে লোভ মুক্ত চাই কষ্ট সহিষ্ণু সেই চালিকাশক্তি শূদ্র ।
প্রশ্ন এবার ওঠে দেখে বর্তমানের ঘটমান সকল বিষয়াদি
কে তবে মানব সভ্যতার মূল কাঠামের সৃষ্টিকারী ?
উত্তর আর নয় যেতে হবে যজুর্বেদে ৩০.৫ এ শ্লোক নাম্বারে_
পুরুষসুক্তের অন্দরে সাম্যের বাণী বিশ্ব মাঝার ছড়াইতে,
কে কী বর্ণে তফাত না করে ভালোবাসো সবাইকে মানুষ জ্ঞানে।