রূপান্তরিত
-শ্রী ভট্টাচার্য্য দে
পুরোনো হয়ে যাওয়া হলদে কাগজের পাতাটা সেদিন
ভীষণ রকম জীবন্ত হয়ে উড়ে এসেছিল হাতে।
ঝোড়ো হাওয়ায় ওর ইচ্ছেডানারা হয়তো
প্রাণ এর শেষ নির্যাসটুকু পেয়েছিল
আর তাইই সম্বল করে সে এসেছিল-
না বলা কথাগুলো জানিয়ে দিতে।
প্রথাগত কোন চিঠি লেখা ছিল না ওতে
কিংবা ছিলনা পরিচিত প্রিয় সম্বোধনও।
বরং একরাশ নীল-কালো অভিমান
নোনতা জলের প্রবল বান নিয়ে
আছড়ে পড়েছিল পার-ভাঙা কান্নায়।
একাকীত্বের কোন ভারী সংজ্ঞা,
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পরীর জন্য নয়।
নিরালা চাঁদ নিভৃতে শরীরে মাখিয়ে দেয়-
জোৎস্নার ছাই!
সেইই প্রাপ্তি, ওই হলদে স্মৃতির!
দিনের পর দিন কাটে,
রাতের পরে রাত।
তবু জানা হয়না –
যে হাত উড়ো চিঠি ছুঁয়েছিল
সে পাথর কতটা নির্জীব!
শিলা থেকে শিলান্তর।
আলোয় সাজানো চাঁদোয়ার নীচে সংসার হয়না,
যেটুকু পরে থাকে, তা মিথ্যে অভিসার।