অবচেতন
-অণুশ্রী দাস
ভাবতে খুব ভয় করে, শেষ রাতে দেখা দুঃস্বপ্নকে…
যদি সময়ের হাত ধরে এসে দাঁড়ায় সে কারোর জীবনে
একটা ছোট নদীর জল, হঠাৎ হয়ে যায় অল্প লাল..
তিরতির করে বইতে গিয়ে ক্ষণিক দাঁড়ায় বেসামাল,
শেষ বারের মতো আলতা রাঙা পা দুটো সে ছুঁতে চায়
এলো চুলে পিঠ ঢেকে একটা মেয়ে ঠায় বসে রয়..
পড়ন্ত বিকেল যেন তার সিঁদুরের রঙ শুষে,গোধূলি..
ঘাটের পাড়ে তার উদাস চোখ বেয়ে নেমে আসে কুহেলি..
আবছা কিছু মুখ আর বুক ভাঙ্গা চিৎকার
সব শুনেও চুপ মেয়েটি,একপলকে নির্বিকার
সন্ধ্যের নীলচে লাভায় পাখিরা যখন ঘরে ফেরে,
সাদা থান সাজায় তাকে শরীরের লালটি কেড়ে
কে সেই মেয়ে ? কি বা নাম ? কাকে হারালো সে
দিনের শেষে ভালোবাসার শূন্য গর্ভে মিশে..
জানি না আমি..উত্তর নেই..চোখের জলে ভোর হয়েছে
এক অদ্ভুত ব্যথা মনের কোনে চিহ্ন রেখে গেছে
ভোলার চেষ্টা অনেক করেছি ভেবে ওসব মনের ভুল
সময় পেরোয় ব্যস্ত ফাঁকে,ঝরে যায় গাছের ফুল
শুধু মাঝে মাঝে..
ক্লান্ত কান্নায় নিভে আসা সেই আলগা মুখ
খোলা চোখেও জেগে ওঠে কাঁপিয়ে দিয়ে বুক..
Khub e valo apnar lekhoni
darun