না
-মানিক দাক্ষিত
সারাদিন অফিসে কলম পিষে ক্লান্ত হয়ে সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরে চায়ে চুমুক দিয়েছি কিনা পাশের ঘর থেকে বিশ্রী রকমের একটা এলোপাথাড়ী ‘ধুপ-ধাপ’ শব্দ। সচকিতভাবে গিন্নির দিকে তাকাতেই ম্লান মুখে বলে, “নকুল বউটাকে পেটাচ্ছে। বেচারী বউটাকে কথায় কথায় মারে।
–কান্নাকাটির তো আওয়াজ নাই?
—লোকে শুনতে পাবে বলে বউটা আওয়াজ
করে না। যন্ত্রণা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে।মটকা গরম হয়।
পাশের ঘরে গিয়ে ধাক্কা মারতেই দরজা খুলে নকুল বেরিয়ে আসে। চোখ মুখ লাল। ঘরের এক কোণে বউটা জড়সড় হয়ে নি:শব্দে কাঁদছে। মুখ ফুলে গেছে। মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে।
চীত্কার করে উঠলাম–“তুমি মানুষ, না জানোয়ার, বউটাকে এমনিভাবে মেরেছো? পুলিশ ডেকে তোমার এক্ষুণি একটা ব্যবস্থা করছি।
আমার মুখের কাছে মুখ এনে নকুল ধীর শান্ত গলায় তীর্যকভঙ্গীতে বলে, “কেন খামোকা আমাদের ব্যাপারে নাক গলাচ্ছেন। যান, নিজের চরকায় তেল দিন।”
রাগে অপমানে আমার গোটা শরীর কাঁপতে লাগল। উদ্বিগ্নচিত্তে বউটা আমার দিকে এগিয়ে এসে সলজ্জ ভঙ্গীতে মাথা নীচু করে দাঁড়ায়। বলে, “বাবু, থানায় খবর দেবেন না! “
—“তোমাকে কি রোজই নকুল মারে? ”
এদিক ওদিক দুদিকে মাথা নেড়ে বউটা উত্তর দেয়, “না”
—-একটু আগে তোমায় নকুল মারছিল না!
আবারও একই ভঙ্গীতে মাথা নেড়ে বউটা উত্তর দেয়, “না।”
—তোমার মাথা ফাটলো কি করে?
—বাথরুমে স্লিপকেটে পড়ে গিয়ে।
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় ‘আলাপী মন’কে। অশেষ শুভেচ্ছা ও
শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ , শুভকামনা নিরন্তর।