কাঁটা তার
-অমরেশ কুমার
বিভীষিকাময় দিন শেষে
হইলো ভারতবর্ষ স্বাধীন
নাই এ ভারতবর্ষ
আর কারও অধীন ।
পরাধীনতার রাত্রি কাটিয়া
আসিল স্বাধীনতার আলো ;
আসমুদ্র-হিমাচল জুড়িয়া
উঠিয়াছে ভারত বর্ষ আনন্দে ভিড়িয়া
খ্যাপা-বোবা , সাধু -সন্ন্যাসী , সৈনিক ;
হিন্দু- মুসলিম ,আর যতসব ধার্মিক
সবে মিলে করিয়াছে মহাকল্লোল-
হিন্দোল-দোল-দোল ।।
একই সুরে ত্রি-বর্ণ উচায়ে বলিছে ,
বন্দেমাতরম ; সারে জাহাসে আচ্ছা
এ হিন্দুস্থান হামারা । কিন্তু ,
হায় ! এ ভারতবর্ষ আর হামারা নেহি ;
বৃথা এ রক্তস্খলন , বৃথা এ বিপ্লব ;
স্বার্থের দায়ে , ক্ষমতার ব্যয়ে
মহানন্দে স্বর্গ-মর্ত-পাতাল ভেদিয়া
রণতুর্য হস্তে লইয়া,মহাবিশ্ব ছাপিয়া
ধুমকেতুসম ;
ভারত মাতার বুকে নামিল
ধর্মের ভূমিকম্প ।।
বক্ষ ভেদিয়া বসিল কাঁটাতার
হিন্দুস্তান ,পাকিস্তান ,বাংলাদেশে
ভারতবর্ষ হইলো ছারকার ;
অশ্রু ভাসায়ে ,বক্ষ কাঁপায়ে
ছিঁড়ল মায়ের অঞ্চল
ক্ষমতার লোভে মায়ের সব
বীরপুত্ররা হইয়া উঠিল চঞ্চল ।।
কনকনিয়ে উঠিল মায়ের বুক
কাঁটা তারের ব্যাথায় মায়ের
উড়িল স্বাধীনতার সুখ ;
পূর্বে – পশ্চিমে ভাষা-ধর্মের অদৃশ্য বন্ধনে
দগদগিয়ে জ্বলিছে যুদ্ধের আগুন ।
তাঁর প্রতি নেই কারো কোন মায়া
তাঁরই সন্তান তাঁরই বুকে বিঁধিছে
কাঁটা তারের কলঙ্কসম ছায়া।
তাহা দেখিয়া ,
বহু দূর হইতে চাঁদ হাসিয়া কহে ,
” হে জননী ! কলঙ্ক শুধু মোর বুকে নাই
সেও পেয়েছে তোরি বুকে ঠাই”
____
ভালো হয়েছে আর লিখে যাও
নিজের সাধ্য মতো। চেষ্টা চালাবো ।