কবিতা

জনৈক ঘটনা

জনৈক ঘটনা
-অযান্ত্রিক

সেই মেয়েটা গান জানে না । রান্না ভালো,
ঘর জুড়ে বেশ পাখির মতো উড়তে পারে।
মুখখানায় বেশ লক্ষী আভা। রংটা কালো,
বালিশ চেপে কান্না লোকায়, অন্ধকারে।

 

মা মাসীদের গঞ্জনা সে, রোজ মেখে নেয়,
কাঁধ কাঁপে না। একলা হাতেই সামলে চলে।
যৌবন তবু, প্রতি বসন্তে ঠিক ছুঁয়ে যায়,
কৃষ্ণকলী , নাম ভেবো না বলছি বলে।

 

প্রেম জানে না । কিন্তু যে তার স্বাস্থ্য ভালো,
খিদের সময় ,খুব চেনা চোখ নজর বোলায়।
ভয়তে থাকে এই বুঝি লোভ। ঝাঁপটা দিলো,
বাড় থেকে ঘর একলা কোনো ফেরার সময়।

 

ঠিক জানি না।নিয়তি বোধহয় বুঝতে পারে,
ভয় গুলো সব, ঠিক একদিন শরীর জোটায়।
খিদের শরীর। ওৎপাতা জিভ সুযোগ করে ,
হামলে পরে । হঠাৎ করে সে শরীরখানায়।

 

তারপরে সব দোষের কত মহুজুরি ।উড়িয়ে ধুলো,
কোট কালোতে তদন্তভার, শরীর খোঁজে সভ্যসময়।
প্রমাাণ তাগিদ। খুঁচিয়ে চলে কাপড় ঢাকা দগ্ধগুলো,
শুধু পথে নয় আইন মেনে,কাঠগড়াতেও ধর্ষণ হয়।

 

সেই মেয়েটা গান জানে না । কবিতা পড়ে
সমাজ লোটে। দোষীর ফায়দা , লেহ্যপেয়ো।
সেই মেয়েটা। বিচার চেয়েই ভুলটা করে,
একলা ঘরে পায়না বিচার। ঝোলায় দেহ।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page