”স্বর্গাদপি গরিয়সী”

”স্বর্গাদপি গরিয়সী”

-রাজীব লোচন বালা

কেন জানি না আঁধারের ‘কালসাজায়’
পৃথিবীটা লাগে অচেনা !
এসে মাতৃ জঠরে,
পৃথিবীকে অবলোকন করিতে
বেরিয়ে এলাম গর্ভ হতে কত কষ্ট দিয়ে।

ভ্রুণাকারে,! শুনেছি —
পৃথিবী কত সুন্দর, অপরুপা- শান্তময়ী।
পশু- পাখি, জন্তু-জানোয়ার ,
কত তার সন্তান-সন্ততি!
মানবকোষ দিয়ে বড়ো হতে হতেই দেখি,
তার বিভীষিকা-তান্ডব।

মহাকোলাহল আর বিষের বীভৎসতায়
মানব আজ পিশাচরুপী মূর্তি ধরেছে!
সিঁড়ি ভাঙ্গা খেলায় পার হতে হতে,
একদিন অবশেষে,
মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে জয়েন্ট চাপরাশি হয়ে,
কন্ঠ ঢেকে, মৃষ্ট স্বরের চাটুকারিতায়
চলবে এই জীবন
এই জীবন??? হা! হা! হা!
মানো না মানো আজ তুমি বন্দী !
এই কারাগারে,
প্রশ্ন জাগে? লুকিয়ে রাখো কোণে,
কে শুনবে?? কাকে শোনাবে?
জানোনা, ভুলে গেছো!
আপন আর আপন নয়
মুক্তি আর মুক্ত নয়।

তবুও আশা, ‘মা’ তো শুনবে
যাকে “মানব কীটপতঙ্গ” ছিঁড়ে ছিঁড়ে
তনুগুলি ভিন্ন করছে সে?

হায়রে! একি তোমার শোভা!

তোমারে মাগো যারা করল খন্ডিত!
তোমার বাতাসে, তোমার মাটিতে
তোমার সলীলে যারা মিশাইল বিষ,
এখনো ভালেবাসো তাদের কোন প্রকারে ।

পাড় হতে বেলা শেষে
রক্তিমা নীড়ের প্রান্ত হতে,
বাতাসে বাতাসে ধ্বনিত হল,,
আমি মা! আমি মা! আমি মা!!
আমি মারে বাছা!!!
আমার কোলেই লালিত-পালিত
লাথি মারবে মারো,
আটকাবো না
শুধু বলব, ‘চিনলি নারে বাছা’,
যেদিন আর রবো না,
সেদিন তোরা নিথর নিস্তব্ধ হবি রে

দুঃখ জাগে তাই,

বায়ু এসে আলতো ছোঁয়ায় ঠোটে,
হে, মা
হে পৃথিবী তোমারে লাগে অচেনা।।
মা তাই অচেনা থেকেই গেল রে, পাগলা
তারে ধরে চিনে নে সময়ের আগে।।
এর চেয়ে নহে কিছু মহীয়ান এ ত্রিভুবনে
হারিয়ে ফেলিস না তারে , এ উপহার একবারই আসে।

Loading

Leave A Comment