আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা

আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা
– তন্ময় সিংহ রায়

প্রশ্ন হল, শিক্ষাব্যবস্থার আধুনীকিকরনে বর্তমানে জাতি কতটা উপকৃত?? সুদক্ষ কারিগর দ্বারা নিপুণ কৌশলে সাজানো এডুকেশন সিস্টেমে সিংহভাগ সরকারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ব্ল্যাকহোলে। অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বোধকরি তাদের প্রকৃত আদর্শমিশ্রিত দায়িত্ব ভূলে জাতির মেরুদন্ডের গর্বে ৮০-৯০ কেজি ব্যক্তিত্ব নিয়ে রোজ স্কুলে যায় ও আসে আর মুখ্যত সাথে রয়েছে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য সরকারের অতি সামান্য কিছু অনুদান। এ প্রসঙ্গে ব্যতিক্রম নেই বলাটা যুক্তিসংগত নয় তবে তা দুর্লভ। বিশেষত গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত অভিভাবকদের কাছে এনারা আদর্শ শিক্ষাগুরুরুপে আজও পূজিত হন। জাতির স্পাইনাল কর্ডের এ হেন দীর্ঘজীবী বিচিত্র ভূমিকার চাকা অতি স্বচ্ছন্দে ও নির্বিঘ্নে বর্তমানে ৯০ কিলোমিটার /আওয়ার-এ চলছে। মাথার উপর বোধকরি অদৃশ্য হাতযুক্ত মান্যবরেরাই এনাদের অনুপ্রেরণার ভূমিকায়। দিনের পর দিন স্কুলগুলোতে কোনো ইন্সপেকশন নেই যদিও হল, সব ওকে। সুপরিকল্পিত সাজানো সিস্টেমে সমাজ জন্ম দিচ্ছে লাখো লাখো অশিক্ষিত গ্র‍্যাজুয়েট। চারিদিকে চলছে নোটের জোয়ার, যে যত উন্নত নোট প্রদানে সক্ষম সে তত দামি মাষ্টার, অভিভাবকরাও খুশিতে আত্মহারা। নোটবন্দি ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধির বহি:প্রকাশ বর্তমান সমাজে কিরূপ তা আশা রাখি বলে বোঝাবার আর অপেক্ষা রাখেনা। কোথায় যাবে বিশেষত গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া এ সমস্ত অভিভাবকদের ছেলেমেয়েরা?? এই এডুকেশন সিস্টেম সত্যিই কি এদের প্রকৃত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম??

Loading

Leave A Comment