আবর্ত
-সঙ্কর্ষণ
দুপুর গড়িয়ে বিকেলের দিকে একটা মনখারাপ আসে।
শেষবারের মতো ডুবন্ত সূর্যের ভাসমান বিলাপ
গোধূলি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে,
কে যেন ডেকে ওঠে “আয় আয় আয় আয়…”
ছেয়ে আসে অন্ধকার…প্রথমে আলতো,
তারপর… তার পর গভীর।
কালচে ছোপের আতঙ্কে বাসায় ফেরে কিছু রঙিন কাকলি…
কিচমিচে কান্নাতে আগুন জ্বালায় গাছের কোলে।
মনে পড়ে দাওয়াতে বসে থাকা বুড়িটাকে…
দশ বছর ধরে ছেলের পথ চেয়ে যে মরে গেলো,
ঠিক এমন… এমনই একটা সন্ধ্যেতে।
একটা মনখারাপ।
সন্ধ্যে, সন্ধ্যে থেকে রাত, রাতের আকাশে চাঁদ
আর একটা প্রতিশ্রুতি।
প্রতিশ্রুতি রাত আরো গভীরতর করার,
প্রতিশ্রুতি চাঁদের বুকে কলঙ্কের।
চাঁদে কোনোদিনও ফিরে পাবোনা প্রিয়তমাকে,
খুঁজে যাবো শুধু… দোষ তো চাঁদের নয়।
তবে কার?
সকালে, আবার একটা মনখারাপের শেষ হবে।
দিনের আলোয় মনে পড়বে দিনের শেষে সন্ধ্যে,
সন্ধ্যেগুলো মনখারাপের… আবারো রাত,
রাতে সেই প্রতিশ্রুতি… ইত্যাদি।
মৃত্যুও আসলে এক কবিতা।
আর অন্ধকারের কবিতার পাঠক বেশী।