Site icon আলাপী মন

সাহিত্যাকাশের পিলসুজ

সাহিত্যাকাশের পিলসুজ

-রাজীব লোচন বালা

সাহিত্যাকাশে উজ্জ্বলতম, মানুষ তৈরির কান্ডারী ঠাকুর তুমি,
তোমারই পরশে জাত-পাত হল অবশেষে নিষ্পত্তি ।
হিন্দু -বৌদ্ধ কিংবা মুসলমান, সবার প্রাণে একশক্তিরই অধিষ্ঠান,
গানে গানে, কবিতা- ছন্দে তুমি ঠাকুর ভবের মানুষ , মনোজগতে মহীয়ান ।

কি গাহিব তোমারে লয়ে , অতি অধম মুই এ ভবের হাটে,
মানব জনম বুঝি বৃথা গেল চলে , তোমার পরশ পেলাম এ জন্মে।
১ লক্ষ ২৫ হাজার গান , এই জগতে কে লিখেছে আর,
আমি জানি না তুমি কোথায় আছো, সাহিত্য জগতেও চিহ্ন রেখেছো।

আর কিবা বলি তোমার লয়ে, ছন্দের তালেতে আর গানের সুরে,
দু’হাত খোঁজে তোমার পাইবো ছোঁয়া, মনের ভিতরে গাইছে জপমালা।
মানুষরে মানুষ করো, বলে ছিলে এক কথা বড়ো,
পাগলরে, “#জাত_থাকে_কতক্ষণ_মানুষ_হয়_না_যতক্ষণ “।

মানুষের প্রাণে কভু ব্যাথা দিও না, কইতে শিখো সত্য কথা,
বিংশ শতাব্দীর মহা মানব , সাহিত্যেও যাঁর অগাধ দখল
কবিগানও অসমাপ্ত রয়ে যাবে, যদি না ঠাকুরের গান না গাওয়া হবে।

মানুষ হয়ে মনুষ্যত্ব রাখিও, সদাই ভবা দেখিয়েছেন ইহাই সত্য,
দূর হতে যত দূরে যাও না চলে, মাটির নিকটে সবাই থাকিও,
মাটি মা যে বসুমতী দানে পূর্ণধর্মা, চরণ ধরে সবাই রয়ো
ঠাকুর ভবা সাহিত্য জগতের মহসকাশেও এক মহান পিলসুজ সম।

মহাবিশ্বে যত যত সাহিত্যিক জন্মেছে এই ধরাধামে
সর্বজাগতীক ঐক্য সাধনে দেহ-মন- প্রাণ সঁপেছেন নিজেরে,
মানুষ তৈরির ভূবনজয়ী এ নরালোকে,
ভবা পাগলা উজ্জ্বল নাম হয়ে রবে।
প্রণাম জানাই শ্রীচরণে, তোমার আশীষ যেন পাই মোরা সকলে,
দূর হতে যত দূরে যাই না চলে, ভক্তিভরে ডাকি তোমায় পাগল হয়ে।

Exit mobile version