খোকা
– অমরেশ কুমার
খোকা চলে গেলি ছেড়ে আমাকে ভুলে !
কেন তবে, এসেছিলি এ অনাথা মায়ের কোলে!
তুই কী আর আসবিনা ফিরে
এ নিঃস্ব মায়ের আঁচল নীড়ে,
একবার আয় বাবা ফিরে
তোকে দেখবো দু’নয়ন ভরে
কোথা গেলি বাবা! আয়! চলে আয়!
মায়ের কোলে।।
তুই তো আমার হিরে মণি
তোর জন্য মেলায় গিয়ে, এনেছি
খেলনা গাড়ী আর সোনার রানী।।
তোর, খেলনা গুলো ধুলায় কাঁদে
আপন মনে, তারাও ভাবে —
তাদের খেলার সাথী নাই
কোথাই গেছে তাদের দাদাভাই।।
দোলানাখানি আজও দোলে
দোদুল- দোদুল তালে
ঝিনুকবাটি আজও আমার হাতে
নেয় শুধু তুই আমার সাথে।।
হাসছিস, খোকা! আমায় দেখে
হাস, হেসে নে, আমিও যাবো চলে
তখন তুই ডাকিস আমায়
মা মা বলে।।
আমার ছোট্ট সোনা, চাঁদের কণা
গেছে চাঁদের দেশে
সেথা স্বপ্নপুরীয় ঘুমিয়ে আছে
ঘুমের পরিবেশে।।
ঘুম পরীরা আদর করে
ঘুম ভাঙাবে তারে,
কিন্তু, আমার শূন্য আঁচল নীড়ে
খোকা বলে ঘুম ভাঙাবো কারে ?
শূন্যতা আমায় গ্রাস করেছে
শূন্য সকল স্থান
মা বলে কি আর ডাকবে আমায়
আমার বাবান?