যদি একদিন দেখা হয়
-অমল দাস
যদি কোন একদিন আবার চোখে চোখ মিলে তোমাতে আমাতে-
ট্রেনের সাইরেন কুয়াশা ঘেরা সাদা শৈত্য গোধূলিতে।
সেই চিল ফেরা সাঁঝে অলিতে গলিতে যদি আঁধার নেমে আসে!
শরমের আঁচল আঁধারে হারিয়ে যেভাবে দুজনাতে গিয়েছিলাম মিশে।
যদি বহু বছর পরে কাশের দুপুরে আবার তোমার কেশ উড়ে আসে!
তোমার শরীরের রোদ মাখা আশ্বিনের ঘ্রাণ ছড়াবে আমার শরৎ আকাশে।
হয়তো তখন পথের পাশে সারিসারি গাছ ক্লান্ত হয়ে-
ঢেকে যাবে শহরের ইমারতে,
হয়তো তখন তোমাদের পূবে কলকল নদী অসহায়
নীল জল ঘোলা জল থেমে যাবে বালুর চরাতে।
হয়তো পূর্ণিমা হাসবেনা শিশির ভেজা সোনালী ধানের শীষে!
হয়তো সেদিন দিবালোকে কোকিল আর প্যাঁচা গাইবে একই শিসে!
যদি আবার একদিন দেখা হয় দেবী আরাধনার সপ্তমী রাতে!
পারবে চিনে নিতে? যদি ধর্মাশোক যুগ ঘুরে মুখোমুখি হই দুজনাতে।
যদি সেদিন গোলাপের গন্ধে মদিরার নেশা না থাকে!
অথবা পলাশ শিমূল ছাড়াই ফাগুন থেমে যায় পথের বাঁকে!
হয়তো কিছু বছর পর চিলেরা মাটি ছুঁয়ে ধূসর ডানার রঙ ঝারবে,
হয়তো সেদিন হিমালয় ছোট হয়ে সমুদ্র কিনারে এসে দাঁড়াবে!
যদি তেমনই একদিন আবার দেখা হয় দুজনাতে কোন দিনান্তে..
যদি ভুলে যাই, মনে না পড়ে! দেখা হয় ধূলি মাখা কোন পথ প্রান্তে..!