কবিতা

নীলঞ্জনাকে গানে বেঁধো না..! 

নীলঞ্জনাকে গানে বেঁধো না..! 

-অমল দাস

 

 

বিরহের সাথে আপোষের সন্ধিতে নিরুত্তাপ আপন করেছি

নীলঞ্জনাকে নিয়ে আর গান বেঁধো না-

এ পথ তুমিও ছেড়ে দাও নচিকেতা!

শতাব্দীসম বছরগুলি নীল সমুদ্র হয়ে সুদূরে গেছে!

পিছন ফিরে বালুতটের ওপরের সবুজ কি দেখা গেছে?

আমিও দেখিনি আর- যে ছিল আমার!

কেমন বুঝলে তুমি যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাস সে হাসি দিয়ে ঢাকে

সে এখন স্বামীর বুকে মাথা রাখে পরম স্বস্তিতে , সোহাগ গহীনে

ক্লান্তিহীন নিঃসঙ্কোচের বাতাসে পেখম মেলে বিশ্বপরিক্রমা করছে!

নীলঞ্জনার এখন শ্রাবণ ভরন্ত সংসার-

সন্তানের বাৎসল্য , ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাফল্যে তার প্রাকৃতিক হাসি

নচিকেতা, তা দীর্ঘশ্বাস নয়! সশব্দ স্বস্তির নিঃশ্বাস

অতীত স্মৃতির বিস্মরণে আনন্দ লহরের আন্তরিক উচ্ছ্বাস।

কোন ব্যাধি বা মহামারী তাকে আজো আক্রান্ত করেনি

এরূপ সংবাদও বিগত যুগে খবরের কাগজে জীবন্ত হয়নি

তুমি মিথ্যে কল্পনায় জাগিয়ে তুলেছ!

অসুস্থতা নীলঞ্জনার নেই! কেনই বা হবে?

সে যোগে আছে, তোমার আমার মত বিয়োগে নেই ,

মানসিক বিকারে ভুগছি আমরা!

পরিবারিক ব্যস্ততায় বিস্তীর্ণ জালে তার সময় সঙ্কুচিত

কিন্তু তুমি কি তার খোঁজ নিয়েছ ? তবে অভিমানী কে ?

তোমার আমার বিছানা চুরি হয়েছে, নির্লজ্জ হয়ে রাতের কাছে সম্মান হারিয়েছি

তার বিছানায় রোজ ফাগুন নব কল্লোলে,

আসলে মশকরা তো সে করেনি!

সে জীবনকে দেখেছে বাস্তবতার সুর্মা লাগানো চোখে

আমরা আছি অলৌকিক কুয়াশার তিমিরে ঢেকে

ক্লান্ত চোখে বিরাগ বাউলে তুমি চাঁদের পানে,

বৈদিক ইতিহাস খননের আকুল প্রচেষ্টা

দেখে এসো লাল শাড়ি আর সিঁদুরে রাঙা ললাট

এজগতের সমস্ত অপার্থিব সান্ত্বনা তুমি পাবে তার রক্তিম আননে।

নচিকেতা! নীলঞ্জনাকে নিয়ে আর গান বেঁধো না।

Loading

6 Comments

Leave A Comment

You cannot copy content of this page