মিতিনের খেলাঘর

মিতিনের খেলাঘর
-অযান্ত্রিক

বহুবার আমি গিয়েছি মিতিনের সংসারে, ছুটির দিনে কিংবা আপিস থেকে ফিরে,
খেলাঘর, ছোটো সংসার, ঝুটা উনুন, ছোটো ছোটো হাঁড়ি কড়ায় ,
গামছার বড় চুল,এলোখোঁপা,কুচোনো কাগজের ভাত, ডাল,সদ্যগৃহিণীর দরজায়,
বহুবার আমি অতিথি হয়েছি, মিতিনের খেলাঘরে, জীর্ণ সময়ের শরীরে।

ও ভাত রাঁধে,খেতে দেয়, আপ্যায়ন করে এগিয়ে দেয় চুমুকের থেকেও ছোটো চা
নিছক ব্যস্ততায় ছুটে যায় বাজারে থলি হাতে, বিছানার ওপাশেই সেজেছে বাজার,
প্রতীকী দরদাম ,পারণহীন সবজির তদবিরে জেগে ওঠে অতিথি সৎকার।
কৃত্তিম চিন্তার ঘোরে বকাবকি করে আরো কাল্পনিক ছোটদের , বলে পড়তে যা।

ওরা কয়েকজন মিলে শুরু করে কোনোদিন, কোনোদিন হয়তো একাই লড়ে যায়,
বিছানার ঘর, বালিশের আওতায় জুটে যায় সাথী, প্রাণহীন কিন্তু মানুষের মতো,
চোখে মুখে সীমাহীন পূর্ণতা, অপূর্ণতা জানেনা ,বোঝার চেষ্টাও করে না সংগত।
ছোটো ছোটো শরীর, চাদরের চত্বরে ,নিজের সংসার সাজায় অবলীলায়।

কয়েক ঘন্টা বয়ে যায় সংসারী হাওয়া, তারপর বাস্তব গুটিয়ে আসে পরীধিতে,
ওড়ে না সাজানো শুকপাখী সারা জীবন, ফিরে আসে বাস্তব জমিনেতে
ওরা ছোটো তাই বড় হতে চায়, যারা বড় তারা ছোট হতে চায় বহুবার,
বড়দের চোখে ঘুম নেই,কপালে ভাঁজ, সময় মানচিত্র আঁকা চামড়ায় সবার।

বৈষম্য বেষ্টিত জীবন বলে বার বার ,”ওরা ভালো ছিলো, ওরাই ভালো থাকে চিরকাল”

Loading

Leave A Comment