দেশ
-কাজল দাস
দেশ বলতে নদীর পাশে গ্রাম
লোকে তাকে হিরুরডিহি বলে
দেশ বলতে একটুখানি থাম
পা দুটোকে ভিজিয়ে নি জলে
দেশ বলতে পলাশ ফুলের বনে
সারি সারি শাল শিমুলের গাছ
দেশ বলতে মাদল বাজা তালে
সাঁওতালিদের কোমর ধরে নাচ
দেশ বলতে দুয়ারসিনি-র বন
পাহাড় ঘেরা শাল-পিয়ালের ছায়া
বসন্তবৌরী ডাকছে সেথায় শোন
দেশ বলতে দুলদুলি আর টিয়া
দেশ বলতে সাতগুডুং- এর জল
সুবর্ণরেখার চোখ জুড়ানো মায়া,
ঢাল তলোয়ার সঙ্গে নিয়ে চল
মুখোশ পরে নাচছে পুরুলিয়া।
দেশ বলতে পাহাড় ঘেরা গ্রাম
বেলপাহারী নাম দিয়েছি তাকে
দেশ বলতে একটু না হয় থাম
কাঁকড়াঝোড় হাত বাড়িয়ে ডাকে
দেশ বলতে সোনাঝুরির বনে
লাল মাটিতে কপাল খানি থুই
দেশ বলতে কাঁসাই নদীর পাড়ে
টুসুকে দেখতে যাবি নাকি তুই?
দেশ বলতেই মনটা ভরে যায়
দেশ বলতেই চোখে আসে জল
মায়ের মতই সবার চেয়ে সেরা
মেয়ের মতোই অমূল্য সম্বল।
যে মাটিতে জন্ম আমার মাগো
সেই মাটিতেই মৃত্যু দিও তুমি
মরেও যেন শুনতে আমি পাই
-“সকল দেশের রানী,
সে যে আমার জন্মভূমি।”