কবিতা

দুগ্গা মা

দুগ্গা মা
– রাণা চ্যাটার্জী

দেখ্ মা আইছে দুগ্গা ঠাকুর
পরব পরব গন্ধ,
কত্ত মজা চাইরধারে
আর আমার কপাল মন্দ!

গেল বছর পুজার সময়
বাপটা কইল্ল বিয়া,
ভাগায় দিল আমাদিকে
ফ্যালনা কইরে দিয়া।।

বাবুদিগের ছুটো ব্যাটা
লতুন জামা পইরে,
লম্বা চুলে ,কানের দুলে
ফরফরায়ে দেইখ্ছে ঘুইরে।।

গেল বছর যেই জামাটা
দিল বাবুর ব্যাটা,
পুরনো হল্যেও পায়্যেছিলম
মনে আছে তুর সেটা ?

ছিঁড়ে গেছে জামাটাও
বল্ কি পইরব ইবার,
আমার ও তো মন করে
লতুন জামা লিবার।

চাই যে একটা লতুন জামা
দে মা তুই কিনে,
পারবি নাই তো বুকে জড়ায়ে
বলেছিলিস কেনে?
“কিনে দিব লতুন জামা
বাবুঘরে ঝি খাইটে,
আমিই তোর মা রে
আমিই তোর বাপ বটে।”

অ্যা মা, তোর চোখে জল!
কাদিস কিসের লাইগে?
চাইনা জামা, তোর শাড়িটাই
জুগাড় কইরব আগে।

শুনছি ইবার উপাড়াতে
জামা কাপড় দিবেক,
তুই দ্যাখিস মা, লাইন দিয়ে
আমিই আগে লিবেক।

নদীধারে কাশফুল গুলান
মনে লাগায় দোলা,
তুই ই আমার দুগ্গা মা রে
আমি যে তোর ছেইলা।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page