বাঙালীর ছেলে
-অমরেশ কুমার
বাংলাদেশের হ্যাংলা ছেলে
বিশ্বে কি আর এমন মেলে ,
মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়ায়
হৈ হৈ করে গরু চড়ায় –
কেউবা আবার সাইকেল নিয়ে
বাইপাসেতে আড্ডা দিয়ে
সন্ধ্যাবেলা বাড়ী ফেরে
বাবা, আবার রেগে গিয়ে
দু’ চার কথা বলে দিয়ে
ভাঙলো লাঠি পিঠে মেরে।
মাছ ধরাটা কম জানে না
না ধরলে মন মানে না
সাঁতার কেটে নদী পেরোই
গাছে গাছে দাপিয়ে বেড়ায়,
হনুমান যে হার মেনে যায়
শুধু যে এদের লেজ খানা নায়;
প্রচুর এদের শক্তি মনে
কিন্তু কি বা করে কে বা জানে।
পড়তে বসে কি যে ভাবে
দেখলে মনে হয় কবি হবে —
নিউটনের সূত্র গুলো
মুখস্ত করে করে ধুলো;
ছবি যে সব বই-এর পাতায়
নকশা আঁকে নিজের মাথায়
রাশি রাশি খাতা কেনা
অঙ্ক কষতে এদের মানা
বিশাল বিশাল হিসাব করে
মাঝ পথেতে আটকে পরে।
অর্জুনের মতো লক্ষ আছে
যায় না কেউ ধারে কাছে
রাজনীতিতে রাজ্যোজয়
এদের নাম বিশ্বময়,
এক বললে আরেক শোনে
অথচ এরা ঘরের কোণে —
ঘরটা ওদের ভালোই জানা
ওখানে ওরা মেলে ডানা।
মায়ের আঁচল এরা চেনে
মা ছাড়া আর কি বা জানে?
সব মায়েরই একই কথা–
“আমার শিশু থাকুক আমার বুকে
তাতে আমি থাকবো মনের সুখে”।
ধন্য এদের অধ্যবসায়
ধন্য এদের জ্ঞান-তপস্যায়
এই না হলে বাঙালীর ছেলে–
কত খুঁজলে তবে দুটো মেলে।।