শেষ উপহার
-পারমিতা চ্যাটার্জী
একলা শ্রাবণ রাতে মনে পরে অনেক কথা–
লেখা আছে সেই কথা পুরানো ডায়েরির পাতায়–
ডায়েরিটা হয়েছে জীর্ণ —
পাতাগুলো মলিন ধূসর —
তবু লেখাগুলো যায়নি মুছে–
ছেঁড়া ছেঁড়া পাতায় তারা আজও রয়ে গেছে–
শ্রাবণের স্মৃতি রোমান্থনে আজও আছে বেঁচে
ছেঁড়া ডায়েরির পাতার কোণে–
হয়তো একদিন যাবে ছিঁড়ে
ডায়েরির পাতাগুলো যাবে উড়ে সময়ের ঝড়ে।
কে যেন কবিতা শোনাত সেদিন–
সেই স্বর এখনও রয়েছে কানে–
সে কি ভুলে গেছে সেই কবিতার স্মৃতি –?
সে কি জানে দীর্ঘ বিচ্ছেদে আমি হারিয়ে
গেছিলাম বিস্মৃতির অন্ধকারে —
ডিপ্রেশনের কালো পর্দা সরিয়ে
আবার এসেছি ফিরে নিজের সত্তাকে পেয়েছি খুঁজে হৃদয়ের গভীর অন্দর থেকে–
লিখে চলি কবিতা একলা আনমনে–
শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে যায় মন–
ভুলে যায় মন বিচ্ছেদ বেদনার রঙ–।
সেকি জানে আমার কবিতা আজ কণ্ঠে নেয় বহু কবিতা প্রেমিক–?
সে কি জানে অজান্তে এ তারই দান–
তারই দেওয়া বিচ্ছেদ বেদনায়
কলম আমার লিখে চলে কবিতা–।
শেষ অনুরোধ যদি রাখি তার কাছে সে কি রাখবে
শ্রাবণের শেষ অনুরোধ আমার–?
একদিন এমনই শ্রাবণের ঘন বর্ষায়
নিস্তব্ধ দ্বিপ্রহরে যাকে বলেছিল
আমি তোমায় ভালোবাসি–।
শেষ অনুরোধ আমার এই শ্রাবণের
যদি সে কণ্ঠে নেয় আমারই লেখা একটি কবিতা–
এই হবে তার কাছ থেকে পাওয়া আমার প্রথম এবং শেষ উপহার।।