ভালোবাসা কারে কয়
-পারমিতা চ্যাটার্জী
কাল বৈশাখীর ঝড়ের মতো এসেছিলে আমার জীবনে–
বঞ্চিত জীবন অঙ্গনে তুমি ছিলে এক ঝলক বসন্তের ফাগুন রাঙা আকাশ —
আমার শ্রাবণ রাতের বৃষ্টিধারা–
আমার শরত আঙিনায় একমুঠো শিউলি?
ভেসে গিয়েছিলাম জোয়ারের স্রোতে তোমার সাথে–
মানতে পারিনি সমাজের বাধানিষেধ —
সব প্রাচীর ডিঙিয়ে হাত ধরেছিলাম তোমার —
কখন যে হাতটা ছেড়ে গেলে — বন্ধন কেটে গেল–
জানতে পারলাম না–।
বুঝলাম যা আমার নয় তা দূরে থাকাই ভালো–
দুটো নদী সমান্তরাল পথে বয়ে যেতে পারে–
একই মোহনায় মিশে যায়না–
রেখে যায় ভাঙা নদীর পারে কিছু বিচ্ছিন্ন স্মৃতির টুকরো –।
অসহায় অবসাদগ্রস্থ মন আকুল হয়ে খুঁজে বেড়ায় ভালোবাসার আশ্রয় —
দিনশেষে ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে বসে পড়ে চেনা গাছের ছায়াটায়–।
সেই যদি ফিরে আসতেই হয় চেনা গাছের ছায়ায় তাহলে মিথ্যা ভালোবাসার প্রবঞ্চনায়
ক্ষণিকের এই মোহতে জীবনে অবাঞ্ছিত আবর্জনা এনে কি লাভ?
এর উত্তর জানা নেই —
মানুষ ভালোবাসার চায়–
ভালোবাসাহীন জীবনের মরুভূমিতে একটু জলের রেখা দেখলেই প্রবল তৃষ্ণায় ছুটে যায়–
কিন্তু ওই যে কবির সেই বিখ্যাত গানের লাইন আমাদের মনে করিয়ে দেয়-
-“ভালোবাসা কারে কয়— একি কেবলই যাতনাময়”।।