আত্মকেন্দ্রিক বাঁচা
-তন্ময় সিংহ রায়
ভাপা ইলিশ অথবা মাটন বিরিয়ানির গন্ধে আমাদের লালারস ক্ষরিত হয় কিন্তু দুর্নীতির গন্ধ খুব সহজেই আমরা উপেক্ষা করি কারণ জীবন একটাই। ভগৎ সিং আর ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানের বীজ বুনে সমাজে নিজেকে মহৎ প্রমাণ করে বেড়াবো কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবো মূক ও বধির রূপে, সুযোগ পেলে চুপিচুপি কমেই ছেড়ে দেবো মনুষ্যত্বটাও। সমাজটা কোমায় যায় যাক, পরিবারসহ নিজেরা ফার্স্ট ক্লাস এসিতে একবার হলেও কাশ্মীরে যাবো। দিনের শুরুতে চায়ের পেয়ালায় সুখচুম্বনসহ খবরের পাতায় অসামাজিক বিশ্লেষণে চোখ রাখবো আর ব্যক্তিত্বপপূর্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপিত আস্ত শরীরে কৃত্রিম হুঙ্কারে সিংহকেও হার মানাবো… “কি হচ্ছে মশাই এসব, ছি! ছি! ছি!… এদের মেরে ফেলা উচিৎ, জেল হওয়া উচিৎ… সমাজটা শেষ হয়ে গেলো।” গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর প্রভাবে মনুষ্যত্ব শুকিয়ে কখন যে আমসত্ত্বে পরিণত হয়েছে তা ঠিক বোঝা যায়নি। মাতঙ্গিনী হাজরায় অনুপ্রাণিত মন সংখ্যায় কমে হু হু করে নিলামে দাম চড়ছে ক্যাটরিনার সৌন্দর্য। ঈর্ষ্বা আর হিংসার রোষানলে সমাজে জ্বলছে দাবানলের আগুন, সে জীবন্ত চিত্র আমাদের যন্ত্রণা দেয়না কারণ আমরা আত্মকেন্দ্রিক নির্লজ্জ বুদ্ধিজীবীর দল সর্বদাই নানাভাবে আমাদের সুখ খুঁজতেই ব্যস্ত। শুধু নিজের পরিবার নয়, যে মন দিয়ে নি:স্বার্থ ভালোবাসতে জানে, তার কাছে গোটা সমাজটাই তার পরিবার হওয়া উচিৎ কিন্তু নি:স্বার্থ ভালোবাসা আজ অণুজীবের ভূমিকায় অবতীর্ণ। সব মিলিয়ে অন্তরের সুপ্তাবস্থায় যত্নে সাজানো লাইনটা এরুপ, ‘শেষ হবো তবুও পরিবর্তন হবোনা, শুধু তুমি আমি আর আমার পরিবার, নেতাজী-র দিন শেষ। ‘ (ব্যতিক্রম অবশ্যই স্বীকার্য)