বেকার
-সঙ্কর্ষণ
সকালের পাতে বেড়ে দেওয়া ভাতে
যায় থেকে কিছু ক্ষোভ,
না বলার মাঝে দু’চোখের ভাঁজে
উগরানো কতো লোভ।
বিশুর মাইনে একলাখি প্রায়
চিন্টুরও হাজার আশি,
ওদের কপালে লক্ষ্মী বসতি
হেথা দুর্ভাগা রাশি।
কষ্টরা শুধু আঁকে অজুহাত
কান্নারা তোলে ঢেউ,
পকেটের মাঝে রেস্ত শূন্য
পাশে নেই কোনো ফেউ।
“আমার ছেলে তো ইঞ্জিনিয়ার
তোমারটা করে কী? “,
মায়ের চোখেতে আঁধারে চাহনি
বাবার মুখেতে “ছি”।
একই বাসে ওরা ছুটেছে অফিসে
আমি ইন্টারভিউ,
চিনি না-ই চিনি, এটুকু তো জানি
তাকাবেনা ফিরে কেউ।
পুজোর ছুটিতে কলকাতা ছেড়ে
ব্যাংকক থাইল্যান্ড,
আমার পুজো তো পায়ে ধরাধরি
“চাকরিটা করে দ্যান।”
সকাল মানেই ঘুমচোখে শুধু
নিন্দের বন্দনা,
বিয়ে-থাও হোতো চাকরিটা হলে
চেহারাটা মন্দ না।
হতাশার বাণী কতবার জানি
কাঁদিয়ে দিয়েছে রেগে,
এ ঘুমের থেকে চিরঘুমই ভালো
উঠবোনা আর জেগে।
ক্লেশগুলো সব পিঠপিছে শুনি
সস্তা আত্মপ্রচার,
পারিনা শোনাতে, সমাজই দেগেছে
এই ছাপ ‘ছোঁড়া বেকার’।