কবিতা

ব্যথার দান

ব্যথার দান
-তোফায়েল আহমেদ

 

 

আজীবন চিন্ চিন্ করে বুকের দুই ইঞ্চি নীচের
গভীর শেখর অনুভবে,
হারিয়ে যায়না সে, পরদেশীর বুকে সুখের উল্লাস
করে, অতীত মানস প্রিয়া সগৌরবে।

পুকুর ঘাটে দৃষ্টি পড়িলো পথ চলার এক বিকেলে
দু’ নয়ন অতীতকে দেখছে,
উত্তাল কোমরের ঢেউয়ের বাঁকে কলসী বসিয়ে সে
ভেজা শাড়ির আঁচল ছেড়ে হাঁটছে।

নির্ভুল অতীত স্মরণ করিয়ে দিলো তার ছায়াছবি
কল্পনার স্বাধীন জগতে,
অযথাই মনটাতে বেজে উঠলো অতীতের দৃশ্যপট
চেতনার হৈ-চৈ পড়লো ধমনীতে।

সেই প্রথম দৃষ্টিতে তুলে আনলো হৃদয় ঘরে তাহাকেই
বাঁশির সুর মোহনায় বেজেছিলো,
জীবন পেয়েছে তার আপন সোহাগ,পুলকিত হাসি
সবুজ নব পত্র পল্লবে সেজেছিলো।

সব ছিলো অভিনয়ের খেলা, লুকোচুরির আয়নাতে
প্রাঞ্জল হৃদয় সারাংশ বিলিয়েছিলো,
অতীতের শালায় আজো বন্দি জীবনের মূল স্পন্দন
দৃষ্টির বাঁধনে অতীত স্মরণ অযথাই জাগিলো।

অতীত অব্যয়,তাই জীবনে আসে মনের খোঁচানিতে
ব্যথার মরমিয়ার সংহারে,
পরাজিত সৈনিক আহত হয়ে ও খুশি থাকে দৃষ্টিতেই অতীতের অন্কুর উদিত উপহারে।

ভালোবাসলে অবশেষে বিনিময়ে পায় ব্যথার মত দান
যা ভালোবাসারা দিয়ে যান,
সারাজীবন প্রাপ্ত ব্যথার যন্ত্রনায় ভোগে,অচিন রোগে
বহে বেড়ায় জীবন তৃষিত থাকে প্রাণ।

অতীত জীবনের অহংকার,বর্তমানে বাজে চমৎকার
ভালোবাসার অভাবে,
ভালোবাসার জীবন ভালোবাসাকেই হারিয়েই খোঁজে
প্রকৃতির জীবনের স্বভাবে।

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page