কবিতা

খনন

খনন
-অযান্ত্রিক

 

 

আমার শরীরের কোদাল,কিংবা কুড়ুল চালিয়ে দেখ,
কি পেলি? পায় চলা দাগ,বন্ধুদের একের পর এক।
পায়ের ছাপ মিলিয়ে দেখে বুঝে নিতে পারিস কিনা বল,
কোনটা নারী,কোনটা পুরুষ, কোনটা বেহায়ার দঙ্গল।
আরও কিছুটা ,ঘোলাটে ঘাম রক্ত কিংবা মাংসমাটি খুঁড়ে ,
দেখনা ,দেখ, কি দেখিস? সারিবদ্ধ শব্দেরা সাদা কাপড় মুড়ে।
শুয়ে আছে, নিশ্চল যেমন মাটির কাছাকাছির দিনে,
কথারা পাল্টাত রং,কে বন্ধু ,আর কে বন্ধু নয় তা চিনে।
আরো নীচে যেখানে নিকশী নালার মতো সেখানে একটু বোস,
দেখ চেনা চাদরের রং একলা আজও জেগে আঁকড়ে তক্তপোষ।
একটু জিরিয়ে নে, জানি হাঁপ ধরে বহুদিন খুঁড়াখুঁড়ি নেই অভ্যেস,
আরও আরো নীচে অবধি খুঁড়ে যেতে হবে,খুঁড়লে হয়ত পাবি দেশ।
কোনো মানবিক আস্তরণ ,অধভাঙ্গা হাঁড়ি, কলসী পুরোনো সভ্যতা,
বন্ধুত্বের আয়ু মাপা,শেষ হয় কাটা হাতের রেখায় ,ম্লান নির্ভরতা।
শব হাতে তুলে দেখ, কারো মৃত্যু দশে কুড়িতে কেউ তিরিশেরও আগে।
দেখ মনে হয় না কি মানুষ অসভ্য, শুধু সভ্যতা বাঁচিয়ে রাখতে লাগে।
আমার শরীরের কোদাল,কিংবা কুড়ুল চালিয়ে দেখ একদিন
যেভাবে বেঁচে আছি বন্ধুদের স্মৃতি শব নিয়ে, সেটা কত কঠিন

Loading

Leave A Comment

You cannot copy content of this page