নিয়ম-নীতি
-অমিত কুমার জানা
চলার পথ সুগম করতেই নিয়ম নীতি করতে হয় অবলম্বন
সঠিক নিয়মে মানলে পরে নিখুঁত হয় মানবজীবন।
সূর্যোদয় হয় পূর্বদিকে অস্ত যায় পশ্চিমে
পৃথিবীরও আবর্তন হয় বাঁধাধরা সেই নিয়মে।
শিশুদেহ প্রোষিত হয় ক্রমশ তাই বেড়ে ওঠে
মুকুল ক্রমেই বিকশিত হয় নিয়মমাফিক কুসুমও ফোটে।
কঠিন কাজও রপ্ত হয় নিয়মিত অভ্যাসে
শিক্ষাদীক্ষাও অর্জিত হয় নিয়মমাফিক প্রয়াসে।
বিশৃঙ্খল পরিবেশ শান্ত হয় ফিরে পায় ছন্দবদ্ধ শৃঙ্খলা
সর্বাঙ্গীন সৌকর্য আসে যদি নৈতিকতায় না হয় অবহেলা।
উত্তম সানন্দে চলে নীতিকে করে পাথেয়
শত কষ্ট বুকে নিয়েও নৈতিকতায় করে না হেয়।
নিয়মের অতি কঠোরতায় দেখা যায় মারাত্মক কুফল
মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় স্বাভাবিকের চেয়েও হয় দুর্বল।
ধর্মান্ধের বিচারশক্তি ঢাকা পড়ে কঠোর নীতির ঘেরাটোপে
কত নিষ্পাপ অকালে হারায় এদের কু-নীতির মারণ কোপে।
নিয়মের জন্য বাঁচা নয় নিয়ম হোক বাঁচার জন্য
নিয়মের মূল্যায়নে সর্বদা মানুষের সুমতিই হোক অগ্ৰগণ্য।