কেন এমন হয়
– প্রীতি মান
দারোগাবাবু, দারোগাবাবু কেন এমন হয়,
নিজের জিনিস থাকতে সবাই চুরি করে রয়।
কম পয়সা, দারিদ্রতা,
কীসের এতো মাথা ব্যথা —
এক গাল মুখ ছেড়ে হাসি
পরতে যায় যে মরণ-ফাঁসি ।
এর থেকে তো ভালোই হতো,
যদি তারা কাজ করতো,
খেটে-খুটে মাইনে পেয়ে,
থাকতো মুখে হাসি ছেয়ে।
তবুও কেন এমন হায় !
চুরি করে মরতে যায়।
দারোগাবাবু, দারোগাবাবু কেন এমন হয়,
মানুষ হয়ে মানুষ মারে, এটা তো তার ধর্ম নয়।
কীসের এতো লুকোচুরি,
চোর-ডাকাতি মারামারি,
ভদ্র মানুষ সমাজ মাঝে
আঘাত হানে নানান সাজে;
মানুষ হলো সবার বড়ো, সত্যিই কি তাই —
মনের দিকে ছোটো কত, সুখ তো কভু নাই।
মানলাম তাদের টাকাই সব, তবুও সেতো মানুষ,
মুখের হাসি কেড়ে নেয়, করেনা তবু আপোষ।
নিজের গায়ে বোম লাগিয়ে মানুষ মেরে গেল
কী লাভ এতে, নিজেকেই যেতে হলো।
বললে হেথায় দারোগাবাবু, শুন সত্যি কিছু কথা,
মানুষ মেরে কখনও তারা পায় না কোনো ব্যথা,
এটাই তাদের রোজগার,
টাকা-পয়সা, ঘর-বার,
দেশের কথা ভাবে না তারা তোমার-আমার মতোন,
লোক মেরে চুরি করে নিজের দেশের ধন।
দেশের কথা ভাবো যদি কোরো না কভু ভয়,
এই দেশেরই নাম তোমাকে করতে হবে জয়।
রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, বীর সুভাষের মতো,
তুমি হবে দেশের ধন রইবে অবিরত।
চলার পথে থাকবে হাসি, থাকবে মুখে গান
মরে গেলেও রাখবে মনে সারা হিন্দুস্তান॥