পাখির কৃতজ্ঞতা
-তোফায়েল আহমেদ
পাখিদের কন্ঠে- কন্ঠে কৃতজ্ঞতা ভোরের সুরে,
ঘর নাই, বাড়ি নাই, তারা থাকে ডালের পরে।
জীবন দিয়েছেন পৃথিবীতে তাদের এক বিধাতা,
তাই তাহারই প্রতি পাখিদের সুরের কৃতজ্ঞতা।
নিজের আহার নিজেরাই করে অনেক বিলে,
খাদ্যের সন্ধানে উড়ি ঘুড়ে বসে পাশের ঝিলে।
দুটি ডানা দিয়েছেন তাদের ভবের পথ চলায়,
পা দিয়েছেন হাঁটতে অবাক দুনিয়ার শালায়।
মানুষ কষ্ট করে জমিতে কত ফসল ফলায়,
কেটে আনে বাড়িতে সে ফসল ভরে গোলায়।
বিলে এখানে সেখানে পড়ে থাকা কিছু খাবার,
টুকিয়ে টুকিয়ে হেঁটে -হেঁটে করে তাহা আহার।
বাবা- মা কত বন্ধু- বান্ধব সবই তাদের আছে,
ঠিকানা পাখিদের বেশি হল বিভিন্ন বনের গাছে।
প্রেম -ভালোবাসায় তারা ওএখানে সংসার করে,
জন্ম দাতা বাবা- মা,রা খোঁজে -নিখোজে মরে।
শিশুকালে মা -বাবারাই নরম খাবার খাওয়ান,
মুখে খাবার দিয়ে আবার তারা বিলে চলে যান।
নিজেরা না খেয়ে তারা সন্তানদেরকে খাওয়ান,
যুবক বয়স হলে পাখিরা সবাই সবাইকে হারাণ।
যার, যার, সংসার তারা তখন আলাদা করেন,
নির্বোধ মানুষ আঘাত করে কেহ তাদের ধরেন।
কেহ -বা শিকার করে খাঁচায় বন্দি করেন,
পাখির মধুর কন্ঠে তখন মানুষের কথা শুনেন।
রোদ -বাদল, বৃষ্টি -ঝড়- তুফানে কত কষ্ট পান,
রাতে না ঘুমিয়ে প্রতি প্রভাতে মানুষকে জাগান।
উঠো মানুষ, ভোর হয়েছে, ঘুম থেকে উঠো!
মসজিদের নামাজে গিয়ে এক আল্লাহকে ডাকো।
কত পাখি ঘরের কোনে পাশের গাছে থাকে,
তারা মানুষের উপকার করে বসে ক্ষুদ্র শাখে।
পাখিদের কখনো আঘাত করা ও মারতে নেই,
তাদের দেখলে মায়া করে ছিটিয়ে যেন খাদ্য দেই।
মানুষ বড়, পাখি ছোট, তারাও ঐ কর্তার সৃষ্টি
প্রাণী হিসাবে তাদের দিকে রাখি একটু দৃষ্টি।
বেঁচে থাকার অধিকার তাদের ও রয়েছে ভবে
পাখির মত বিধাতায় কৃতজ্ঞতা মানুষ জানাবে কবে!