কল্পনা
-পারমিতা চ্যাটার্জী
চলতে চলতে ক্লান্ত পা দুটো থমকে দাঁড়িয়ে পরে জীবনের চৌকাঠ ধরে–।
চেয়ে দেখি শেষ বিকেলের ছায়া নেমেছে জীবন আঙিনায় —।
অসময়ে কোথা থেকে এলো এমন বসন্তের বাতাস–?
এলোমেলো করে দিল নিঃসঙ্গ জীবনের খাতাটাকে–।
যা খুঁজে এসেছি এতদিন ধরে– সে যে আপনি এল জীবনে?
ভয় হয় বড়ো ভয় হয় নতুন করে বেদনার রঙ মাখতে–।
নদীর তীরে দাঁড়িয়ে দেখি পশ্চিম দিগন্তে সূর্যটা যাচ্ছে ডুবে-
আকাশের রক্তাভ রঙ ছড়িয়ে পড়ছে আমার মুখে–
বলতে কি পারব অনাহূত অতিথিকে —
যা বলতে চেয়েছি এতদিন ধরে–।
না বলাই থাক–
শুধু নদী তুমি জেনে রাখো– আমার নিঃসঙ্গ নৈশব্দের মাঝে কেউ আছে–
দীপালীকার প্রদীপ জ্বালাতে– হয়তো কেউ আছে আমার শূন্যতাকে ভরিয়ে তুলতে–
জানিনা– হয়তো সবই আমার না পাওয়া মনের কল্পনা –।
তবু থাক এই কল্পনাটুকু আঁকা মূর্ত জীবনের প্রতীক হয়ে–
সেটুকুই আমার সান্ত্বনা —।।