মেঘ
-অযান্ত্রিক
মেঘ যেদিন দেখেছিলাম প্রথম ,
হলুদ শিফনের শাড়ি, সরু অক্সিডাইজ চুড়ি,
কপালের উপর হালকা বাদামী রঙের চুল,
ঠোঁটের কোনায় তিল।
একটা হাসি, গালের টোল মাখা,
সেদিন নাম দিয়েছিলাম মেঘ,
আমার মনের আকাশে।
হয়তো কোন পোশাকি নাম ছিলো,
যেমন থাকে স্বরস্বতী পুজোয়,
কলেজ ক্যান্টিনে, গানের স্কুলের পথে,
হঠাৎ মিষ্টি হয়ে আসা বিকালে।
চারপাশের মানুষের ভিড়ে বন্ধু,
অথচ আমার মনের আকাশে মেঘ।
কেউ যেন বলেছিলো গোঁড়া পরিবার, ভেবে এগোস,
কিন্তু বন্ধু তো নয় ,প্রেমই,
প্রেমে পড়লে কি আর ঠিক থাকে মানুষ,
হাসতে হাসতে পড়ে নিয়ে কাঁটার মুকুট
হেটে যাওয়া কাঁধে নিয়ে ক্রুশ।
মনের পাহাড়ের চূড়ায় ,অসীম সাহস।
রোজ খুঁজে যাওয়া বাংলার ক্লাসে,
ভালো লাগার মিনারের উপরে,
পেরিয়ে সওদাগরী অফিসের চাকুরে বাবা, অবিবাহিত বোন বুকের পাঁজরে।
একটা চাহুনি, গালের টোল মাখা,
সেদিন নাম দিয়েছিলাম মেঘ,
তারপর,
তারপর চিরাচরিত কব্জিতে বেড়ি কেটে বসে ,
কনুই বেয়ে রক্ত,
সব শহরে তো ফোটে না গোলাপ,
প্রেম বুকে নিয়ে বাঁচাটাও খুব শক্ত।
বুকের বামপাশে জঙ্গলে ঝড় নোনা বৃষ্টি,
একটু নীচে পেট নামক কৃষ্ণ গহ্বর ডেকে যায়,
মনের আকাশে কালো মেঘ ঘনায়।
যেদিন দেখেছিলাম শেষ ,লাল বেনারসী শাড়ি,জড়োয়া ভারী গয়না, চুড়ি,
কপালের উপর চন্দনের আলপনা, ঠোঁটের কোনায় সেই চেনা তিল।
একটা হাসি, গালের টোল মাখা,
সেদিন নাম দিয়েছিলাম ভালোবাসা,
অন্যের মনের আকাশে।
যে সব হৃদয়ের বাগানে গোলাপ ফোটে না,
তারা বন্ধুই হয়,
বুকের বাম পাশে ভেঙে পড়া প্রাসাদ, জীর্ণ জলাভূমি,
থেমে তো নেই ঘড়িতে সময়।