হেমন্তেরদিন

হেমন্তেরদিন
-অযান্ত্রিক

 

 

আজ কোনো কথা বলোনা প্রিয়তমা, আজ নৈশব্দ্য ভালোবাসো,
আকাশের বুকে অগুনিত ফানুসের সারি,তারা কথা বলে শব্দহীনতায়।
কার্তিকের আকাশের বুকে সন্ধ্যা প্রদীপের আলোর জাগায় বিশ্বাসও,
মাধবীলতার গায়ে সদস্য শিশির আর ভ্রমরের কোনো একটানা কথায়,
আর সামিল হয়েও না।

যতবার স্থিরতা আর শব্দহীনতার ফারাক খুঁজতে ছুটে গেছি আমি,
ততবার দেখেছি মধুকুপি ঘাসের বিরহ মাখা মাঠে, আয়েশ করে।
ঝুঁটি বাঁধা কোকিলা মোরগের সেনা খুঁজেছে খিদের মাশুল অথচ সংযমী,
কাঠ গোলাপের ঝাড়, মেঠো ইঁদুরের সান্তনা সাজিয়েছে পাপড়ির পরে।

যতটা আঁধারের দরকারে, নকশী ফোটায় বিচ্ছুরণ শিল্পী ভালোবেসে,
মেনে নেয় আলোর হাতছানি, “শব্দের বাজিকর” সেতো সেরকম নয়।
অহেতুক কোটর যাপন চেনে প্রেমিকের চোখ,পেঁচা হয়ে নবান্নের মাসে,
প্ররোচিত সন্ধ্যা সারস ডুবন্ত সূর্যের গায়ে লিখে যায় ফেরার হয়নি সময়।

আলোর নিশ্চুপ উদযাপনে মুহূর্তেরা পাহাড়ের মতন গভীর ও অগ্রগামী,
পূর্ণ যৌবনা ধানের বুকে ক্ষুধিত তৃপ্তিরা একে একে পূর্ণতায় হয়েছে বিলীন।
যতবার স্থিরতা আর শব্দহীনতার ফারাক খুঁজতে ছুটে গেছি আমি,
ততবার ধানের শীষে, মাধবীলতায় দেখছি হাতছানি হেমন্তের দিন।

Loading

Leave A Comment