হেরোকি তেরাই
-নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত
“মাত্র দেড়-দু’হাজার টাকায়
একবার কেঁদে নাও মেয়ে
তোমার চোখের জল নিঃশেষে মুছিয়ে দেবে
কোনো ‘হ্যান্ডসাম উইপিং বয়’।
সঙ্গগুণে ঘুঁচে যাবে দুঃখকষ্ট সব।”
–একথা বলছেন ‘রুই-কাৎসুর’ জনক
জাপানের হেরোকি তেরাই।
হেরোকি তেরাই,হেরোকি তেরাই,
আমি এই বাংলার এক ধর্ষিতা কিশোরী
তোমাকে সেলাম জানাই।
আমিও কাঁদতে চাই
কিন্তু আমার তো চোখে জল নাই
সব জল শুকিয়ে গিয়েছে
যেদিন একলাফে এ-শরীরে আগুন ঢুকেছে
মাটিতে পাখসাট মেরে আকাশে উড়েছে শকুন।
খাবলে খেয়ে গেছে বুকের সাহস,কলিজার খুন
সেদিন আশ্বাস নিয়ে পাশে তো দাঁড়ায়নি কেউ!
হেরোকি তেরাই, হেরোকি তেরাই,
তোমার আশ্বাস পেয়ে আমিও কাঁদতে চাই
কিন্তু আমার যে বড় ভয় ‘হ্যান্ডসাম বয়!’
পোড়াবাংলার লাগামছাড়া স্বাধীন যুবক
শকুনের সমগোত্র। জানি আমি স্থির
ওরা শরীর পেলেই খাবলায়
যদি সে শরীর হয়
শিশু বৃদ্ধ নির্বিশেষে রমণী শরীর।