অচলায়তন
-সঙ্কর্ষণ
চলো তবে… একটা বাড়ি বানানো যাক।
অনেক লোকের থাকার মতো,
বেশ মজবুত দেওয়ালের… টেকসই একটা বাড়ি।
সে বাড়িতে সবার জায়গা হয়ে যাবে।
একটা পরিবারের মতো আমরা থাকবো সবাই।
গাঁথনিতে গোবর লেপে দেবো… না না সিমেন্ট নয়,
স্রেফ তাজা দুর্গন্ধ ছড়ানো কয় খাবলা গোবর।
সে বাড়িতে আঁতেলের কোনো জায়গা হবেনা।
ঘরে ঘরে পুষে রাখবো একটা করে বুদ্ধিজীবি।
জ্ঞানবৃক্ষে নতুন সব ফল ধরবে সকাল বিকেলে,
সারাদিন যারা অন্ধকার দেখবে
সন্ধ্যেবেলা বাইরে রেখে আসবো সবকটাকে।
দরজার বাইরে থাকা দু-একটা লোক খবরে আসবে,
মাছির মতো ভিনভিনিয়ে বলবে
“ভিত খোঁড়ো… ভিত খোঁড়ো।”
সে বাড়ির বিজ্ঞাপন টিভিতে দিতে হবেনা…
অজান্তে তোমার পেছনে ভিত ফুঁড়ে খোঁচা দেবে শিক।
তারপরে একদিন আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে।
হাজার ভূমিকম্পেও এ বাড়ি টলবেনা…
কারণ ভিত খুঁড়ে দেখলে
ঝুরঝুরে মাটির মতো কিছু মগজ পাওয়া যাবে।
কিছু অব্যবহৃত চিন্তার ফসলে গড়ে উঠেছে দেওয়াল,
ভাঙাটা খুব সহজ হবে কী?
তার থেকে দেওয়ালে একটা বোর্ড ঝোলাবো।
তাতে কোনো প্যারোডি থাকবেনা,
শুধু একটা আঁতেলের লাইন লিখে যাবো।
কাঠের বোর্ড একদিন পাথুরে হয়ে যাবে ঠিক…
আর পাথরের গা ফুঁড়ে বিজ্ঞাপন হয়ে জেগে থাকবে
“সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করোনি।”
আসলে প্রতিবেশী তো কম-বেশী সকলেই।