অপেক্ষায়.. নতুন ভোরের
–রীণা চ্যাটার্জী
শব্দগুলো হারিয়ে গেছে নাম না জানা অচিন স্রোতে
সাধগুলো সব সামলে রেখে পাড়েই বসে, অপেক্ষাতে।
কলম কালি সবই মজুত, তবু পাতায় আঁচড় পড়ে না যে
সফেদ পাতা লুকিয়ে বেড়াই মনের কোণে গোপন লাজে।
অনেক কথাই তো বলার ছিল শব্দ, বর্ণের মালা বুনে
ফুল, চন্দনের সুবাস মাখানো সুপ্ত কথা বোধের জ্ঞানে।
কচি পাতায় লুকিয়ে থাকা সবুজ পাতার প্রেমকাহিনী
ঝরে যাওয়া হরিৎ পাতার ডুকরে ওঠার দুঃখখানি।
হাওয়ার দোলায় শিরশিরে, শব্দগুলোয় কান পেতেছি
সন্তপর্নে লিপির কাছেই নিঃস্তব্ধতার হার মেনেছি।
অলস ক্ষণের বালুকাবেলায় বালির কাছেই সমপর্ণে
আচমকা ঢেউ আঁচড়ে আবছা সকল, স্মৃতির দর্পণে।
একলা মনের সন্তরণে মন ডুবুরির যতেক মানিক
ঘুম-স্বপ্নের যুগল খেলায় হারিয়ে গেছে সেও খানিক।
মনের জমি আবাদ করে কিছু কথা মাখলো ফলায়
দুর্বোধ্য আর সহজ জ্ঞানে সব হারালো অবহেলায়।
মেঘের হাসির, নীহারিকার লুকোচুরির কথাজালে
ঋতুরাণী ধুইয়ে দিলো অঝোর বৃষ্টির বেখেয়ালে।
মায়াবী আলোয় ফিসফিসানি শিশির ভেজা দূর্বাদলের
লোভের বশে হারিয়েছি তাও উজ্জ্বলতায় শতদলের।
ছাদনাতলার ঘেরাটোপে দু’টি মুগ্ধ দৃষ্টির নীরব কথা
শামিয়ানার দেওয়া-নেওয়ায় কথারা বদলে শুধু ব্যথা।
শিশুর যতো অবোধ কথা, সিক্ত হয় স্নেহের ধারায়
নিভৃতে নামে অশ্রুধারা, হারায় ভাষার গভীরতায়।
নবগ্ৰহ নবরত্নের মিলন মেলায় খুঁজেছিলাম কারসাজি
চিকন হাসির দূর্মুল্যে, বাতুলতায় পথ হারালো শব্দরাজি।
অপেক্ষার হাতটি ধরি, হারাবো না আর নিরুদ্দেশে
খুঁজে পাবো নিজের করে নতুন রূপে ভোরের বেশে।