সম্পাত

সম্পাত
-অযান্ত্রিক

 

 

অনেক চোখের তারায় আমি আঁধার দেখেছি,অনির্বান
অনেক হাসিতে রোদ্দুর, কুয়াশা, শীতের সকাল।
চোখের কোন ভেজানো শিশিরে শুনেছি অভিসম্পাত, মৃত্যুহীনতার।
তাই আজ আর মৃত্যুর ভয় নেই,
একবার কৃষ্ণ দ্বাদশীর চাঁদে দেখেছিলাম রক্তিম শ্লেষ,
দীর্ঘ রোগে ভোগা নদী আমার দিকে আঙ্গুল তুলে বলেছিলো,
তোমার রক্তে লোহিত কণিকার মধ্যে মিশে যাবে বহুগামিতা,
গণিকার তরল হাসি, ঠোঁটের কোণে জমানো লালসার হাতছানি,
সারি সারি ধবল দাঁতের উপর সাজানো সতীত্বের চিতা,
ভাঙা হাঁড়ি, ছেড়া তোষক, ছুঁড়ে দিয়ে যাবে আশ্রমিক চুম্বন,
“কোনো ব্যাধি তোমাকে ছুঁতে পারবেনা,”

একবার কিছু শ্মশান যাত্রী তুলে দিয়েছিলো আধঃপোড়া নাভিমূল সমেত মাটি,
কপালে দিয়েছিল পোড়া চিতার কালো তিলক,
বলেছিলো তোমার জন্ম হলো,
এই জন্ম তোমায় বয়ে নিয়ে যেতে হবে শতাব্দীর পর শতাব্দী।
তোমার হাতে ভেঙে যাবে শাঁখা, খুলে যাবে বেবুশশার বসন,
উন্মুক্ত বক্ষ, স্তন।
কিন্তু”তোমার কোনো পাপ হবে না”

বসন্তের অমোঘ আবেগগ্রাসী বাতাস ছুঁয়ে যাওয়ার পর,
অহংকারী রমণীর কণ্ঠহার হয়ে উঠবে তোমার শালিত পাঁজর।
তোমাকে জড়িয়ে থাকবে আগুন তপ্ত নীল মৃত ভাবনার উপত্যকা,
যুদ্ধ ক্লান্ত ছিন্ন ভিন্ন মাংসপেশী, লাল মাংসের মাঝে জেগে থাকবে ঘুণপোকা।
“কোনো প্রেম তোমাকে ছোবে না, কোনো ক্ষয় তোমাকে স্পর্শ করবেনা”
শারীরিক দ্বিধাবোধ জনিত ফাঁসি কাঠ তোমার ঠোঁটের উপর এঁকে যাবে স্নেহ চুম্বন।
“তোমার কোনো মৃত্যু হবে না শুধু প্রতিবাদ হীনতায় বেঁচে যাবে সারাক্ষণ।“
তাই আজ আর মৃত্যু ভয় নেই
তাই আজ আর প্রেমের ক্ষয় নেই
তাই আজ আর বাঁধনের আশ্রয় নেই।
শুধু গত জন্মের দোষ খোঁজা ছাড়া

Loading

Leave A Comment